রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি নিয়ে সরকারের নতুন পরিকল্পনা! কার অ্যাকাউন্টে টাকা আসবে জেনে নিন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারে ভর্তুকি নিয়ে এবার বড় চমক পেতে পারেন গ্রাহকরা। শুধু তাই নয়, ঘরোয়া গ্যাসের দাম বৃদ্ধিরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে অপরিশোধিত তেলের দাম বিপুল হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমতাবস্থায়, এলপিজি সিলিন্ডারের দাম যে হাজারের গন্ডীতে পৌঁছে যেতে পারে তাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল।

এদিকে, এলপিজি সিলিন্ডারের ক্রমবর্ধমান দামের প্রসঙ্গে সরকারের মতামত এখনও সামনে আসেনি। কিন্তু সরকারের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নে, ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, গ্রাহকরা একটি সিলিন্ডারের জন্য ১,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে প্রস্তুত। এদিকে, সূত্রের খবর অনুযায়ী, এলপিজি সিলিন্ডার নিয়ে সরকার মূলত দু’টি অবস্থান নিতে পারে। প্রথমত, হয় সরকার ভর্তুকি ছাড়াই সিলিন্ডার সরবরাহ করতে পারে অথবা দ্বিতীয়ত, কিছু নির্বাচিত গ্রাহককেও ভর্তুকির সুবিধা দেওয়া হতে পারে।

যদিও, ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কিছু স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। তবে এই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ১০ লক্ষ টাকা আয়ের নিয়ম বলবৎ থাকবে এবং উজ্জ্বলা প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা ভর্তুকির সুবিধা পাবেন। তবে, বাকিদের জন্য ভর্তুকির সুবিধা শেষ হতে পারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস যাবৎ এলপিজি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে ভর্তুকি আসতে শুরু করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালের আর্থিক বছরে ভর্তুকি বাবদ সরকারের মোট ব্যয় হয়েছে ৩,৫৫৯ কোটি টাকা। অপরদিকে, ২০২০-র অর্থবর্ষে এই ব্যয়ের পরিমান ছিল ২৪,৪৬৮ কোটি টাকা।

মূলত, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে DBT স্কিমের অধীনে এটি শুরু হয়েছিল। যার অধীনে গ্রাহকদের ভর্তুকিহীন এলপিজি সিলিন্ডারের সম্পূর্ণ টাকা দিতে হত। এমতাবস্থায়, সরকার কর্তৃক গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা ফেরত দেওয়া হয়। যেহেতু এই ফেরত সরাসরি ভাবে দেওয়া হয়, তাই এই স্কিমের নামকরণ করা হয়েছে DBTL।

LPG Cylinder 5577

উল্লেখ্য, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম দিন দিন বাড়ছে। যার ফলে কার্যত মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তদের। গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালেও ক্রমাগত বাড়তে থাকে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম। তবে, নতুন বছরে এখন পর্যন্ত রান্নার গ্যাসের বর্ধিত দামের কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর