জুয়া খেলা ও মদের ব্যাবসা পিওর এন্টারটেইনমেন্ট,এসব আড়ালে নয় প্রকাশ্যে চলুক: মন্তব্য তসলিমা নাসরিনের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশে আগেই নিষিদ্ধ হয়েছে মদের ব্যবসা, নিষিদ্ধ হয়েছে জুয়ো। কিন্তু গোপনে রমরমিয়ে চলছে মাদক ও জুয়ার ব্যবসা। পুলিশ গোপনে অভিযান চালিয়ে বহু ক্যাসিনো ও মাদক ব্যবসা করছে। সম্প্রতি আবারও মাদক ব্যবসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে বসবাস করলেও বাংলাদেশের সামাজিক ঘটনা নিয়ে তিনি নিজের মন্তব্য প্রকাশ করে থাকেন। বাংলাদেশী চলতে থাকা এই নিষিদ্ধ কারবার নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলছেন,

FB IMG 1567757542247 6

“বাংলাদেশে জুয়ো নিষিদ্ধ নাকি? শুনলাম লুকিয়ে লুকিয়ে নাকি ক্যাসিনো ব্যবসা চলছিল আর এখন জেলে ভরা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের? জুয়ো অনেকেই ভালোবাসেন, খেলবেন। আজকাল তো ক্যাসিনোগুলোয় সব মেশিনই বসানো। কপাল ভালো হলে লটারি জিতবে, কপাল ভালো হলে স্লট মেশিন থেকে ঝমঝম করে পয়সা বেরোবে। চাতুরি টাতুরির দিন চলে গেছে। সবই কম্পিউটারাইজড। মদ অনেকেই ভালোবাসেন, খাবেন। অন্যের অসুবিধে না করে, অবশ্যই। মদ খেয়ে গাড়ি না চালালেই, বউ না পেটালেই, ভায়োলেন্স না করলেই হলো। মদ জুয়ো নিষিদ্ধ করার কী দরকার? কিছু মানুষ যদি খেলে এবং খেয়ে আনন্দ পায়, তাদের আনন্দে বাধা দেওয়ার কারণ কী? ব্যবসা ঠিকই চলছে, তবে আড়ালে। আড়ালে চলার চেয়ে প্রকাশ্যে চলা ঢের ভালো। যে দেশের শহরে বন্দরে বৈধ গণিকালয়, যে দেশে মেয়েদের যৌনদাসী হিসেবে প্রকাশ্যেই কেনাবেচা করা হয়, সে দেশে জুয়ো লুকিয়ে খেলতে হয়, মদ লুকিয়ে পান করতে হয়। যেন জুয়ো বা মদ্যপান যৌনদাসত্বের চেয়ে খারাপ কিছু! ধর্ম যত বাড়ে, পাল্লা দিয়ে ভণ্ডামো বাড়ে। পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ হোক, মানুষের দারিদ্রের সুযোগে মানুষের ওপর যৌন নির্যাতন ছাড়া এ কিছু নয়। কারও ক্ষতি না করে জুয়ো খেলা আর মদ খাওয়া পিওর এন্টারটেইনমেন্ট — এসব থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়াই ভালো।”

সম্পর্কিত খবর