মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে ডিম-লেবু দিয়ে ছবি তুলে কেড়ে নিলেন শিক্ষক! তুলকালাম কাণ্ড স্কুলে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কিছুদিন ধরে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে রাজ্য জুড়ে। কোথাও খাবারে মিলছে মরা সাপ, কোথাও বা চালের ড্রামে ইঁদুরের বাসা। এবার এই মিড ডে মিল কেলেঙ্কারিতেই উঠে এল আরেক নজিরবিহীন ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দেগঙ্গার কলসুর মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের এক ঘটনায় ধুন্ধুমার এলাকা।

ঠিক কী ঘটেছিল? এদিন দেগঙ্গার কলসুর মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকগণ। তাঁদের অভিযোগ, মিড ডে মিলের সময়ে স্কুলের পড়ুয়াদের হাতে ডিম ও লেবু দিয়ে তার ছবি তুলে নেন প্রধান শিক্ষক। তারপর তড়িঘড়ি সেই ছবি পাঠিয়ে দেন বিডিওকে। ব্যাস কাজ খতম। এরপরই সেই পড়ুয়াদের হাত থেকে সেই ডিম ও লেবু ছিনিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক। ঘটনার খবর পাঁচকান হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা।

অভিযোগের জেরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হন অভিভাবকেরা। প্রধান শিক্ষককে স্কুলের ঘরে তালা দিয়ে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় প্রধান শিক্ষককে। ঘটনার জেরে রীতিমতো উত্তাপ ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

ঘটনা প্রসঙ্গে, সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এক অভিভাবক বলেন, “আমাদের বাড়ির ছেলেরা স্কুলে গিয়েছিল। এরপর ওদের হাতে ডিম দিয়ে ছবি তুলিয়েছেন হোড মাস্টার, তারপর তড়িঘড়ি সেই ছবি বিডিওকে পাঠানোর পরই ডিম আর লেবু ছাত্রদের কাছ থেকে ফেরত নেন শিক্ষক। আগে যখন রাঁধুনির হাতে দায়িত্ব ছিল তখন প্রায়ই ডিম দেওয়া হত। কিন্ত এখন সেসবের কোনো বালাই নেই। স্কুলে পড়ুয়া রয়েছে হয়তো ৩০ জন। খাতায় লেখা হচ্ছে ৫০ জন। আজ তাই স্কুলে গিয়ে প্রতিবাদ করেছি।”

meal

পাশাপাশি অভিভাবকদের অভিযোগ, ৪০ জনের নামে রান্না হচ্ছে। কিন্তু খাচ্ছে মাত্র ১২ জন। এরপরই এদিন ক্ষোভে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে একজোটে দেগঙ্গার বিডিওর কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাফাই, “আমাদের বরাদ্দ ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। ওই টাকায় ডিম ও কমলা দুটোই পড়ুয়াদের দেওয়া সম্ভব নয়। আশি টাকার কাঠ না হলে রান্না হয় না। এরপর তেল, মশলারও খরচ রয়েছে। তবে পড়ুয়াদের হাত থেকে ডিম নিয়ে নেওয়া আমার ভুল হয়েছে।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর