কাশ্মীরের উপর কড়া পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের, পাথর ছুঁড়তেও হাত কাঁপবে কট্টরপন্থীদের।

জম্মু-কাশ্মীরের স্থিতি খুব দ্রুতগতিতে শোধরাতে শুরু হয়েছে। বিশেষ করে অমিত শাহ যখন থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসেছেন তখন থেকে উন্মাদী, কট্টরপন্থীদের উপর নিয়ন্ত্রণ তীব্র হচ্ছে। কাশ্মীর সমস্যা ভারতের জন্য ক্যান্সার রোগের মতো। পাকিস্তান থেকে কাশ্মীর এবং কাশ্মীর থেকে পুরো দেশে আতঙ্কবাদের বিষ লাগাতার ছড়িয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের রোগের প্রতিকার অতি আবশ্যক। মোদী সরকার তাদের ২য় দফায় সম্ভবত সেই কাজের উপরেই জোর দিয়েছে। প্রথম দফাতেও কাশ্মীরের উপর মোদী সরকার বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল যার প্রভাব দেখা যেতে শুরু হয়েছে।

এক রিপোর্টে অনুযায়ী কাশ্মীরে পাথরবাজির ঘটনা লাগাতার কমছে এবং আতঙ্কবাদীদের উৎপাতের উপরেও লাগাম লেগেছে। পাথরবাজি ঘটনার সাথে জড়িত গ্রেফতারির সংখ্যা ১০৫০০ থেকে কমে ১০০ তে চলে এসেছে। অবশ্য এটাও সত্য যে রাজনাথ সিং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন বহু পাথরবাজকে নিরীহ মুসলিম যুবক আখ্যা দিয়ে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৬ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ১০ হাজার পাথরবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কিন্তু তাদের মধ্যে ২৬৭ জন এখন জেলে রয়েছে। সেই সরকারের পদক্ষেপ শুধুমাত্র লোক দেখানি হয়েছিল বলেও অনেকে নিন্দা করেছিলেন।

IMG 20190728 183332

তবে অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে বসে লাগাতার কট্টরপন্থী দমনে নেমেছে। বহু বিচ্ছিন্নবাদী নেতাকে গৃহবন্দি করে দেওয়া হয়েছে, অনেক নেতাকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অমিত শাহ ঘাঁটিতে অতিরিক্ত ১০ হাজার সৈন্য নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন। যার অর্থ সরকার কাশ্মীরের উপর কোনো বড়ো ঘোষণা করতে পারে। কাশ্মীর সংক্রান্ত বড়ো ঘোষণা হলে কট্টরপন্থীরা উৎপাত করার চেষ্টা করতে পারে। যা দমন করার জন্যই ঘাঁটিতে অতিরিক্ত ১০ হাজার সৈন্য নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১৫ আগাস্ট পেরোলেই সরকার বড়ো ঘোষণা করতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর