বিধানসভায় নামাজ ঘরের পর রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিকে বিপুল অনুদানের সিদ্ধান্ত সোরেন সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সরেন সরকার মুসলিম জনপ্রতিনিধিদের নামাজের জন্য বিধানসভায় আলাদা করে একটি ঘর বরাদ্দ করেছে। আর এবার রাজ্যে ১৩০টি মাদ্রাসাকে অনুদান দিতে চলেছে। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের হওয়া বৈঠকে মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাব সর্বসম্মতিতে পাশ হয়। বোর্ডের বৈঠকে বিধায়ক সুদীপ কুমার সোনু, নারায়ণ দাস আর দীপিকা পাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন।

বিগত কয়েকদিন ধরেই তদন্ত চলছিল যে, রাজ্যের ১৮২টি মাদ্রাসা সরকারের আইন মেনে চলছে কী না। এই মামলায় তদন্ত করা ঝাড়খণ্ড অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল বৈঠক নিজেদের রিপোর্ট পেশ করে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, ১৮২টির মধ্যে ১৩০টি মাদ্রাসা সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছে।  এরপরই ওই ১৩০টি মাদ্রাসার জন্য অনুদানের ভাণ্ডার খোলে হেমন্ত সরকার। জানা গিয়েছে যে, বাকি ৫২টি মাদ্রাসার রিপোর্ট এলে সেগুলিকেও অনুদান দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যের বিধানসভায় মুসলিমদের নামাজ পড়ার জন্য আলাদা একটি কামরা বরাদ্দ করেছিলেন খোদ বিধানসভার স্পিকার। এরপরই রাজ্যে রাজনৈতিক শোরগোল বেড়ে যায়। বিজেপির বিধায়করা নামাজের কামরা নিয়ে আপত্তি না জাহির করে বিধানসভাতে একটি মন্দির স্থাপনের দাবি জানায়। যদিও, সরকার বিজেপির এই দাবিকে মান্যতা দেয়নি।

বিজেপি বিধানসভায় নামাজ পড়ার জন্য আলাদা কক্ষের বিরোধিতা না করলেও রাজ্য সরকার এবং বিধানসভা স্পিকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিল। যদিও, শাসক দলের তরফ থেকে বিজেপিকে ইতিহাস জেনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। শাসক দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভাতে এর আগেও নামাজের জন্য আলাদা কক্ষ ছিল। আর নতুন ভবনে সেই মতেই একটি কক্ষ দেওয়া হয়েছে।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর