মাস্কের আড়ালে ব্লু-টুথ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রী, বাতিল পরীক্ষা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (corona)  নিয়ে যখন সারা জায়গায় হই হই রব পড়ে গেছে।  সবাই মাস্ক (mask) ব্যবহার করছে।  তখনই এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (Higher Secondary Examinations) মাস্কের আড়ালে ব্লু-টুথ(Blue-tooth) নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়ল। কথায় আছে ব্জ্র আটুনি ফসকা গেরো! তেমনই দশা হল ছাত্রীটির।

পরীক্ষার হলে অ্যান্ড্রয়েড ফোন (Android phone) নিয়ে ঢুকেছিল উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী। নকল রুখতে হাজারও বজ্র আঁটুনির মাঝে ফাঁক গলে কোনওভাবে ঢুকে পড়েছিল সে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় বাঁকুড়ার ওই ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। কিন্তু ছাত্রীটি যেভাবে নকল করার চেষ্টা করেছিল, তা দেখে তাজ্জব পরীক্ষকরাও।

download 2 28

বাঁকুড়ার পরিমলদেবী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সুস্মিতা গড়াই। তার উচ্চ মাধ্যমিকের সিট পড়েছিল বিষ্ণুপুর হাইস্কুলে। ততদিন করোনা সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যদপ্তর একাধিক বিধিনিষেধ চালু করেছে। বিভিন্ন স্কুলে পরীক্ষা বাতিল করে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বোর্ডের পরীক্ষা বাতিল করা সম্ভব নয় বলে তা নির্দিষ্ট সূচি মেনেই চলছে। তার জন্য যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করার কথাও বলা হয়েছে। পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মাস্ক পরা প্রায় বাধ্যতামূলকভাবেই চালু হয়েছে।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শনিবার তারই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করে সুস্মিতা। ইংরাজি পরীক্ষার দিন মুখে মাস্কের আড়ালে ব্লু-টুথ নিয়ে সে ঢুকে পড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে। সঙ্গে ছিল একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন। নকল করার উদ্দেশেই তার এই চেষ্টা বলে অভিযোগ ওঠে। ওইদিনের মতো পরীক্ষা দিতে পারলেও, পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে কাউন্সিল।

দেখা যায়, সত্যিই সেদিন মাস্কের আড়ালে ব্লু-টুথ নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছিল, পরীক্ষাও দিয়েছিল। মঙ্গলবার তদন্ত শেষ হওয়ার পর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়ে দেয়, সুস্মিতার এবছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে হাজারও। বোর্ডের পরীক্ষায় কোনওরকম কারচুপি রুখতে যথেষ্ট তৎপর কাউন্সিল। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে রীতিমত বজ্র আঁটুনি ছিল প্রতিটি জেলায়। তা সত্ত্বেও এখানে কীভাবে মাস্কের আড়ালে ব্লু-টুথ নিয়ে সুস্মিতা ঢুকে পড়ল, সেই প্রশ্ন থাকছেই। পরীক্ষা চলাকালীন তা পরীক্ষকের নজরে পড়লই না, উঠছে এই প্রশ্নও। পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে একদিন দেরিই বা হল কেন, তা নিয়েও চলছে আলোচনা।

সম্পর্কিত খবর