“তিনি আমাকে শিখিয়েছেন কিভাবে…”, রতন টাটার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এই মহিলা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের শিল্পপতিদের মধ্যে রতন টাটা (Ratan Tata) এক উজ্জ্বল নাম হয়ে রয়েছেন। অনাড়ম্বর জীবনযাপন, পরোপকারী মানসিকতা এবং নিঃস্বার্থ মনোভাবের ওপর ভর করে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন বর্ষীয়ান এই শিল্পপতি। আর সেই কারণেই যত দিন এগোচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা। এমতাবস্থায়, গত বুধবার অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর ছিল টাটার ৮৫ তম জন্মদিন। স্বাভাবিকভাবেই ওইদিন শুভেছার বন্যায় ভেসেছেন তিনি।

১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের (Tara Group) চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন রতন টাটা। তাঁর হাত ধরেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায় সংস্থা। এমতাবস্থায়, জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ “হিউম্যানস অফ বোম্বে” রতন টাটা এবং তাঁর ঠাকুমার প্রসঙ্গে একটি সুন্দর পোস্ট তুলে ধরেছে। যেটিতে জানানো হয়েছে যে, রতনের জীবনে তাঁর ঠাকুমার প্রভাব কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইতিমধ্যেই ওই পোস্টটি তুমুল ভাইরাল (Viral) হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে।

ওই পোস্টে, জানানো হয় রতন টাটার ঠাকুমা নাভাজবাই টাটা (Navajbai Tata) তাঁর বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদের পরে তাঁকে বড় করেছেন। টাটার মতে, “তিনি আমাকে শিখিয়েছেন কিভাবে মর্যাদার সাথে বাঁচতে হয়।” পাশাপাশি, রতনের বাবা যখন তাঁর আর্কিটেক্ট হওয়ার পরিকল্পনায় বিরোধিতা করেছিলেন তখন তাঁর ঠাকুমাই তাঁকে সমর্থন করেন।

এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে কাজ করার সময় একজনের প্রেমে পড়ে তিনি “প্রায় বিবাহিত” হতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তখন রতনের ঠাকুমা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ভারতে ফিরে আসেন। টাটা জানান, “এখানে আমি টাটা গ্রুপে কাজ শুরু করি। পাশাপাশি, ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে, আমি আমার অবস্থান তৈরি করি।”

এছাড়াও টাটা বলেন, ১৯৯১ সালে জেআরডি টাটা যখন তাঁকে টাটা  গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন, তখন এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। “কিন্তু আমি আমার নীরবতা বজায় রেখে এবং কাজের মাধ্যমে উত্তর দিয়েছি।” তিনি আরও জানান ২০১২ সালে পদত্যাগ করার পরেও তিনি এখনও টাটা ট্রাস্টের দিকে নজর দেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রতন টাটা সাশ্রয়ী মূল্যের ক্যান্সারের চিকিৎসা প্রদানের মাধ্যমে এবং ভারতের গ্রামীণ জীবনকে উন্নত করে সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন। শিল্পপতি বলেন যে, তাঁর ঠাকুমা তাঁকে “সঠিক কাজ করার” মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন। আর তিনি সেই মন্ত্র অনুসরণ করেই জীবন অতিবাহিত করছেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, রতন টাটা ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা-মায়ের নাম হল নভাল এবং সুনি টাটা। রতনের বাবা-মা তাঁর ১০ বছর বয়সে আলাদা হয়েছিলেন। গত নভেম্বর মাসে, রতন টাটা হিউম্যানস অফ বোম্বের কাজের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি, এর প্রতিষ্ঠাতা কারিশমা মেহতা টাটাকে তাঁর সম্পর্কিত একটি বইও উপহার দিয়েছিলেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর