চাকরি করব ভেবেছিলাম, সব আশা শেষ! মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে নিয়োগপত্র পেয়েও হতাশ চাকরিপ্রার্থী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রথমে হুগলি (Hooghly) আর এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) খড়গপুর (Kharagpur); মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হতে (Mamata Banerjee) প্রদান করা চাকরির নিয়োগপত্র নিয়ে ফের একবার বিভ্রান্তি ছড়ালো। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরকারের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party)। যদিও বিরোধীদের সকল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক মামলা উঠে আসায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সাম্প্রতিক হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। তবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে চলেছে। চাকরির নিয়োগপত্র প্রদান নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল সরকারের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, বর্তমানে রাজ্যের পক্ষ থেকে যেভাবে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসে চলেছে, তা থেকে মানুষের নজর এড়ানোর জন্যই এহেন কর্মকাণ্ড করা হয়ে চলেছে।

এর মাঝেই হুগলির সভা থেকে প্রদান করা নিয়োগপত্র নিয়ে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয় আর এবার সেই একই ঘটনার সাক্ষী থাকলো পশ্চিম মেদিনীপুর; যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে পাওয়া নিয়োগপত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার যুবক কুশল দে-কে নিয়োগ পত্র প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। উক্ত নিয়োগপত্র অনুযায়ী, গুজরাটের সানন্দে টাটা মোটরস কোম্পানিতে অন জব ট্রেনিংয়ের সুযোগ পায় ওই যুবক। অভিযোগ, নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার দিনই তাকে সেই কোম্পানিতে রিপোর্টিং করতে বলা হয়। শুধু তাই নয়, নিয়োগপত্রে কোন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, সেই বিষয়েও স্পষ্ট করা হয়নি। এই ঘটনার দরুণ স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ওই চাকরিপ্রার্থী। যুবক ও তার পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, বাংলায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মাঝে হুগলির সভা থেকে চাকরিরপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে আর এবার বিতর্কের কেন্দ্রস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের পিংলা এলাকা। গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর পিংলার বাসিন্দা কুশল দে-র হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে ওই দিনই আবার তাকে গুজরাটের কোম্পানিতে রিপোর্টিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, টাটা মোটরস কোম্পানিতে কার সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ করতে হবে অর্থাৎ তার নাম এবং মোবাইল নম্বর কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। এই ঘটনায় হতাশ যুবক ও তার পরিবার।

সম্পূর্ণ ঘটনা প্রসঙ্গে কুশল দে জানায়, “গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর খড়গপুর সভা থেকে আমাকে অন জব ট্রেনিংয়ের নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। তবে নিয়োগপত্রে ওই দিনই রিপোর্টিং করার কথা বলা হয়েছিল। তা দেখে অত্যন্ত ভেঙে পড়ি। মুখ্যমন্ত্রী হয়তো সম্পূর্ণটা জানেন না। ওনার সহযোগিতা কামনা করি।”

Untitled design 2022 09 07T130146.792

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই শাসক দল এহেন কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে বলে দাবি তাদের। আবার অপরদিকে, বিরোধীদের সকল অভিযোগ উড়িয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দাবি, “সম্পূর্ণ ঘটনাটি দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Avatar
Sayan Das

সম্পর্কিত খবর