বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউন (Lockdown) নিয়ম ভঙ্গ করতে এক অভিনব কৌশল আবিষ্কার করল চণ্ডীগড় (Chandigarh) পুলিশ। যাতে করে আইন ভংকারীকে ধরাও যাবে, আবার তাঁকে ছুঁতেও হবে না। দুই ব্যক্তির মধ্যে বেশ অনেকটা দূরত্বও থাকবে। ভাবতে অবাক লাগলেও, এমন এক অভিনব পন্থা বের করে তাক লাগিয়ে দিল চণ্ডীগড় পুলিশ।
করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে জারী করা হয়েছে লকডাউন অবস্থা। তবে এই সময় জরুরী প্রয়োজন ব্যতীতও প্রচুর মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছিলেন। যাতে করে বেশ কিছু এলাকা ইতিমধ্যেই রেড জোনে পরিণত হয়ে গেছে। এবার সেইসব রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলগুলোকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য নেওয়া হচ্ছে বিভিন্নরকম পদক্ষেপ।
কোথাও বাইরে বেরোন মানুষকে কান ধরে ওঠ-বোস করানো হচ্ছে, আবার কোথাও দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন রকম হাস্যকর শাস্তি। আবার পুলিশের লাঠির বারীও খাচ্ছেন অনেকে। আবার বিভিন্ন জায়গায় ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে “আমি দোষী” প্ল্যাকার্ড লিখেও আইন অমান্য ব্যক্তির হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এতকিছু পন্থা অবলম্বন করার পরও যখন কিছু ব্যক্তি কিছুতেই কথা শুনতে চাইছে না, তখন চণ্ডীগড় পুলিশ বের করল এক আজব প্রক্রিয়া। পাঁচ ফুট দীর্ঘ ধাতব রড দিয়ে এক ডিভাইস বানানো হয়েছে একটি স্লাইডিং স্টিক। যার মুখের গোড়ায় আটকানো থাকছে টোভাসের মতো অংশ, যা অমান্যকারীদের কোমর আটকে ধরবে। এবং এই ডিভাইসের অপর প্রান্ত থাকবে পুলিশের হাতের সঙ্গে আটকানো। যাতে করে আইন উলঙ্ঘনকারী ব্যক্তিকে ধরাও যাবে, কিন্তু তাঁকে ছুঁতেও হবে না।
এই আজব যন্ত্রের ছবি চণ্ডীগড় পুলিশ প্রধান সঞ্জয় বানওয়াল টুইটে শেয়ার করেছেন। এবং দেখিয়েছেন এই যন্ত্র দিয়ে কিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও আইন অমান্যকারীকে পাকড়াও করা যাবে। তিনি ছবি দেওয়ার পাশাপাশি আবার ক্যাপশনেও লিখেছেন, ‘লকডাউন অমান্যকারীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পাকড়াও করবার এ এক অভিনব উপায়। ইন্সপেক্টর মনজিৎ, গুরদীপ, পবন আর ঊষা এই অদ্ভুত যন্ত্রটি বানিয়েছেন’।