৫০০ টাকা খরচ করলেই বাংলায় তৈরি করোনা কিট মাত্র ৯০ মিনিটে করবে শনাক্ত, ICMR দিল স্বীকৃতি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ৩,৯০০ নোভেল করোনা সংক্রমণের কেস নথিভুক্ত হয়েছে। যার জন্য সরাসরি রাজ্যগুলিকেই দোষারোপ করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য, করোনা (corona) সংক্রমণের রিপোর্ট রাজ্যগুলো দেরিতে দেওয়ায়, একদিনে একলাফে প্রায় ৪ হাজার আক্রান্ত বেড়েছে। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৩৩। অনেকেই বলছেন, লকডাউনে আর থামানো গেল কোথায় করোনা সংক্রমণ?

বাংলার জন্য সুখবর 

এই পরিস্থিতিতে বাংলার জন্য সুখবর। অন্তত বেশি টেস্ট করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বাংলায়। কারণ এবার বাংলাতেই তৈরি হচ্ছে করোনার কিট। সেই কিটকে ইতোমধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের চিকিৎসা গবেষণা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিএমআর।

কিটটি তৈরি করছে জিসিসি বায়োটেক ইন্ডিয়া’ সংস্থা 

তবে, উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারতে যে কিট ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে অনেকক্ষণ। সেইসঙ্গে চিনা ওই সব কিটে পরীক্ষার খরচও প্রায় ১৪০০ টাকার মতো। কিন্তু নতুন এই কিটে পরীক্ষা করতে খরচ হবে মাত্র ৫০০ টাকা। আর রিপোর্ট পাওয়া যাবে মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যে। কিটটি তৈরি করছে ‘জিসিসি বায়োটেক ইন্ডিয়া’ (GCC Biotech India) নামে একটি সংস্থা। আর এই কিট তৈরির যাঁরা মাথা, তাঁরা হলেন ড. অভিজিৎ ঘোষ এবং জয়দীপ মিত্র। এই কিটের পোশাকি নাম ‘ডায়াগশিওর এনসিওভি -১৯ ডিটেকশন অ্যাসে’।

রাজ্য থেকেই আসছে কাঁচা মাল 

সংশ্লিষ্ট সংস্থা জানাচ্ছে, এই কিটের ফলে আর বাইরের কিটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এমনকী এই কিট তৈরির কাঁচামাল বাইরে থেকে আনতে হয়নি, সম্পূর্ণ দেশীয় কাঁচামাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই কিট। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাঁকড়াহাটে এই কিট তৈরির কাজ চলছে। জিসিসি বায়োটেক (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেডের মলিকিউলার ডায়াগনস্টিক ডিভিশনের প্রধান জয়দীপ মিত্র জানান, তাঁদের কাছে ৫০ লক্ষ রিয়েকশন তৈরি রয়েছে। সরকার যদি চায়, তাঁরা প্রতি মাসে এক কোটি কিট তৈরি করতে পারে। তাঁর কথায়, ‘আমাদের লক্ষ্য টেস্টিং ফর অল। যাতে বাংলা তথা দেশের সমস্ত মানুষ সস্তায় করোনা পরীক্ষা করাতে পারে সেজন্যই আমারা এই কিট তৈরি করেছি।’

উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত বলে যাচ্ছেন, লকডাউন উঠে গেলে করোনা চলে যাবে, ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। করোনাকে নিয়েই এখন বাঁচার লড়াই চালাতে হবে মানুষকে। সেই কারণেই টেস্টের প্রয়োজনীয়তাও এখনই শেষ হয়ে যাবে না। সেক্ষেত্রে বাংলার তৈরির এই কিট অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

সম্পর্কিত খবর