পেট্রোল পাম্পেই চলছে লেখাপড়া! বিদ্যুৎহীন ঘরে লড়াই করে শিক্ষার আলো জ্বালাচ্ছেন দুই ভাইবোন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। লম্প জ্বালানোর জন্য কেরোসিন কেনার ক্ষমতাও নেই পরিবারের। কিন্তু তাতেও ভাই-বোনের পড়াশোনায় ভাঁটা পরেনি। সন্ধ্যা হলেই ভাই-বোন চলে আসে পেট্রোল পাম্পে। পেট্রোল পাম্পের আলোতেই চলে পড়াশোনা। জলপাইগুড়ির এই ভাই-বোন যেন এ যুগে বিদ্যাসাগর।

এই পেট্রোল পাম্পটি অবস্থিত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর ব্লকের পাহাড়পুর মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে। আপন তন্ত্র নামের এক ব্যক্তি দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন পেট্রোল পাম্পের পাশেই বালাপাড়া এলাকায়। দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে বড়। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে। কয়েক মাস আগে মেয়ে ভর্তি হয়েছে স্কুলে।

সকাল বেলা অসুবিধা না হলেও রাত নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা বাড়ি। তখন আলো বলতে ভরসা কুলপি। তাই বাধ্য হয়ে এই পেট্রোল পাম্পে বসেই সন্ধ্যা বেলা পড়াশোনা করে আপন তন্ত্রের দুই সন্তান। পেশায় দিনমজুর আপনের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। গৃহকর্তা জানিয়েছেন বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল বছর দশের আগেও।

কিন্তু বিদ্যুৎ সংস্থার পক্ষ থেকে পাঠানো হয় ভুয়ো বিল। সেই বিল পরিশোধ করতে না পারায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। এমনকি থানায় অভিযোগ দায়ের হলে আত্মহত্যাও করেন তার বাবা। তৃণমূল প্রার্থী বাবলু বসাক পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাপাড়া অঞ্চলে জয়লাভ করেছেন। জটিলতার কারণে এখনো শপথ নেননি তিনি। 

pump light

তবে এই ঘটনা জানার পর রীতিমতো হতবাক হয়ে গেছেন তিনিও। বাবলু বসাক আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ সংযোগসহ আর্থিক সাহায্য তিনি করবেন এই পরিবারকে। পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেনুরঞ্জন সরকারের কথায়, “এই ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য নয়। জানলে দ্রুত বিদ্যুৎ দপ্তরের সাথে কথা বলতাম। তবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর