অগ্নি-৫-এর পর এবার পৃথ্বী-২! পরপর দু’মাসে দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ভারত

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত ১৫ ডিসেম্বর ওড়িশা উপকূল থেকে ভারী পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫ (Agni 5)-এর সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এমতাবস্থায় অগ্নি-৫-এর সফল পরীক্ষার পর নতুন বছরের শুরুতেই কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পৃথ্বী-২ (Prithvi-II)-এর পরীক্ষা করল ভারত। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার ওড়িশার চাঁদিপুরের উপকূল থেকে পৃথ্বী-২-এর পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয়।

ইতিমধ্যেই এই পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতির মাধ্যমে বলা হয়েছে যে, ‘‘পৃথ্বী-২ হল একটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার ওড়িশার চাঁদিপুর উপকূল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে।’’ পাশাপাশি মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়, “পৃথ্বী-২ ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের পারমাণবিক শক্তির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এমতাবস্থায়, পরীক্ষায় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় নির্ভুল ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।’’

৫০০ কেজি পর্যন্ত পেলোড বহন করতে সক্ষম: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, পৃথ্বী-২ হল একটি দেশীয়ভাবে তৈরি উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র। শুধু তাই নয়, এটি ৫০০ কেজি পর্যন্ত পেলোড বহন করতে সক্ষম। গত বছরের জুন মাস নাগাদ ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পৃথ্বী-২-র পরীক্ষা করা হয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উচ্চ মাত্রার নির্ভুলতার সাথে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

উল্লেখ্য যে, চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে চলমান অচলাবস্থার মধ্যে ভারত ক্রমাগত তার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা জোরদার করছে। আর ঠিক সেই আবহেই এহেন পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র অনুযায়ী, পৃথ্বী-২ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রুর ওপরে নির্ভুলভাবে হামলা চালাতেও অত্যন্ত পারদর্শী।

ডিসেম্বরে সফলভাবে অগ্নি-৫-এর পরীক্ষা করা হয়: এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ভারত সফলভাবে দূরপাল্লার সারফেস টু সারফেস পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫-এর পরীক্ষা চালায়। যার পরিধি পাঁচ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)-এর নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ছিল অগ্নি-৫-এর নবম পরীক্ষা। ২০১২ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা করা হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর