মলয়ের বাড়িতে হানা দেওয়া CBI-র অন্যায় হয়েছে’ সংশোধনাগার থেকেই হুংকার কেষ্টর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুজনেই তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা। একজন রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী, অপর জন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। তফাৎ শুধু একটি জায়গাতেই, একজন রয়েছেন কারাগরে বন্দী, আর অপর জনের বাড়িতে গতকাল হানা দিল সিবিআই। গোরুপাচার কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) সিবিআই (CBI) গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal)। আর অপরদিকে কয়লাপাচার কাণ্ডে বুধবার সকাল থেকে মন্ত্রী মলয় ঘটকের (Malay Ghatak) ৩টি বাড়িতে তল্লাশি চালাল সেই সিবিআই। আর সেই বিষয়েই বেশ কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিলেন কেষ্ট।

মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির তীব্র সমালোচনা করলেন অনুব্রত মণ্ডল। আসানসোলে মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি রীতিমতো অন্যায় বলে এদিন তোপ দাগলেন কেষ্ট। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে বসেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন। বলেন, ‘অন্যায় হয়েছে।’

এদিকে, আবার একবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় বিশেষ সিবিআই আদালত। তাই আগামী ১৪ দিন আপাতত বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই থাকছেন কেষ্ট। গোরুপাচার মামলায় এর আগে ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকার সময় অনুব্রত মণ্ডল ও ঘনিষ্ঠদের সম্পর্কে একাধিক তথ্য জোগাড় করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, তদন্তে উঠে এসেছে নামে অথবা বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক অনুব্রত মণ্ডল। ওইসব তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই এদিন অনুব্রতর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় বিশেষ সিবিআই আদালত।

images 56

অপর দিকে, আপকার গার্ডেনের ২টি বাড়ি এবং চেলিডাঙার পৈত্রিক বাড়ি সহ মন্ত্রী মলয় ঘটকের মোট তিনটি বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এমনকি মহিলা আধিকারিকও ছিলেন ওই দলে। তবে কোনও বাড়িতেই তল্লাশির সময় মন্ত্রী মলয় ঘটক উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা যাচ্ছে। বড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।

কয়লা পাচারকাণ্ডে শুধু সিবিআই নয়, তদন্ত করছে ইডিও। মন্ত্রী মলয় ঘটককে ইতিমধ্যেই ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রী মলয় ঘটককে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জুলাই মাসেও মলয় ঘটককে ডেকে পাঠায় ইডি। কিন্তু সে সময় ইডি দফতরে হাজির হননি রাজ্যের মন্ত্রী। এবার ১৪ সেপ্টেম্বর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার আগেই বাড়িতে সিবিআই হানা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুপ মাঝির ডায়েরিতে মলয় ঘটকের নাম পাওয়া গেছে।

তবে গতকাল সিবিআই আধিকারিকরা চেলিডাঙার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই মন্ত্রীর ছেলে অভিজিৎ ঘটক বলেন, ‘সিবিআই কোনও সার্চ ওয়ারেন্টই দেখাতে পারেনি। আমি আইনজীবী। আমার বাবা, দাদু, দাদা সকলেই আইনজীবী। আইনের বিষয়টা আমরা ভালো করেই বুঝি। মধ্যবিত্ত ও সচ্ছল পরিবারে যা যা সম্পত্তি থাকার কথা, তাই রয়েছে। সেইসব কিছু খতিয়ে দেখে সিবিআই। তারপর বেরিয়ে যায়।’ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টে ২০ পর্যন্ত চলে মন্ত্রী মলয় ঘটকের তিনটি বাড়িতে এই তল্লাশি অভিযান। সিবিআই যে খালি হাতেই বেরিয়েছে মলয় ঘটকের বাড়ি থেকে গতকাল তা জোর গলায় দাবি করেন মন্ত্রীর স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটকও।

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর