বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাড়ি ও অফিসে সাজানো গুচ্ছ গুচ্ছ টাকার বান্ডিল। চালের বস্তায় মুড়ে রাখা টাকা। বুধবার জঙ্গিপুরের (Jangipur) তৃণমূল বিধায়ক, (TMC MLA) জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বাড়িতে ১১ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান চালানোর পর কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর (IT)। বিপুল পরিমান নগদ অর্থ কেন রাখা ছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে? এই প্রশ্নেই ধুন্ধুমার গোটা রাজ্য। এবার নেতার বিপুল পরিমাণ ক্যাশের উৎস জানতে কলকাতার আয়কর দফতরে তলব (Summoned) করা হল জাকির হোসেনকে।
সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই শাসকদলের বিধায়ককে কলকাতার অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আয়কর দফতর । পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে তাঁর আয়ের সমস্ত নথি, ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সহ সমস্ত ডকুমেন্ট নিয়ে অফিসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে দফতর। এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমকে জাকির জানান, , ‘‘আমি বৃহস্পতিবারই আয়কর দফতরের আধিকারিকদের বলেছিলাম, নগদ টাকা মজুদের ব্যাখ্যা দিতে পারব। আজ আমাকে বলা হয়েছে, ওই টাকা সংক্রান্ত সমস্ত নথি আয়করের অফিসে জমা দিতে।’’
প্রসঙ্গত, বুধবারই তৃণমূলের বিধায়ক জাকিরের বাড়ি, দফতর এবং চালকলে তল্লাশি অভিযান চালান আয়কর কর্তারা। এরপরই উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার দফতর তরফে দাবি করা হয়, তল্লাশি চালিয়ে বিধায়কের বাড়ি থেকে মোট ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের দাবি অফিস এবং বাড়ি মিলিয়ে ধরতে গেলে মোট ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি তৃণমূল বিধায়ক জানান তিঁনি একজন ব্যবসায়ী। তাঁর অনেক কারখানা রয়েছে। সেখানে কাজ করা শ্রমিকদের নগদে বেতন দিতেই এই নগদ টাকা রাখা হয়েছিল তাঁর বাড়িতে। তৃণমূল বিধায়ককের পাশে দাঁড়িয়েই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন , ‘‘জাকির হোসেন একজন বিধায়ক শুধু নন, তিঁনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীও। বিড়ি শিল্প থেকে শুরু করে কৃষিভিত্তিক শিল্পে তাঁর যোগ আছে৷ ব্যবসায়ী বাড়িতে নগদ রাখতে পারবেন না এটা কে ঠিক করল? শ্রমিকদের তো নগদে পেমেন্ট দিতে হয়।”