বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে সম্ভবত হেন কোনো তারকা নেই যার সঙ্গে কোনো বিতর্ক বা আইনি লড়াইয়ে জড়াননি কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)। প্রায় দিনই কোনো না বিতর্কের জন্য সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন অভিনেত্রী এবং অনেক সময়েই সেই বিতর্ক গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আইনি লড়াইয়ে কঙ্গনার পুরনো প্রতিপক্ষ বলিউডি সুরকার জাভেদ আখতার (javed akhtar)। তবে এক সময় নাকি কঙ্গনার ভাল চেয়েই হৃতিক রোশনের সঙ্গে মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
কঙ্গনার বিরুদ্ধে আনা মানহানির মামলার শুনানির সময় অভিনেত্রীর আইনজীবী রিজওয়ান রক্ষিত দাবি করেন, ২০১৬ তে হৃতিক কঙ্গনার ইমেল যুদ্ধের সময় জাভেদ নাকি মধ্যস্থতা করে দুজনের ঝামেলা মিটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেল এবং হৃতিককে একসঙ্গে ডেকে নাকি কথা বলে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে বলেছিলেন তিনি। দু পক্ষেরই পরিচিত এক চিকিৎসকও নাকি উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
আদালতে দাঁড়িয়ে জাভেদ আখতার দাবি করেছিলেন হৃতিক কঙ্গনার সমস্যা মেটাতে তিনি নিজে গিয়েছিলেন অভিনেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। গুরুজন হিসেবেই তিনি বিষয়টা মিটিয়ে নিতে উপদেশ দিয়েছিলেন। এতে দু পক্ষেরই ভাল হবে। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হয়েছিল। আখতার দাবি করেন, কঙ্গনা নাকি তাঁর কোনো কথা শোনার প্রয়োজনই মনে করেননি। উলটে বলেছিলেন নিজের যেটা ঠিক মনে হয় সেটাই করবেন। তিনি হুমকি দিয়েছিলেন হৃতিককে দেখে নেবেন।
ব্যাপারটা এখানেই মেটেনি। জাভেদ আরো অভিযোগ করেন কঙ্গনা নাকি দাবি করেছিলেন তিনি বলিউডে ‘বহিরাগত’দের আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দেন। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরেই এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কঙ্গনা নাকি দাবি করেন জাভেদ আখতার ‘সুইসাইড গ্যাং’ তৈরি করছেন। এরপরেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা আনেন সুরকার।
এদিকে সম্পূর্ণ অন্য কাহিনি শোনান কঙ্গনার আইনজীবী। তাঁর দাবি, যে চিকিৎসক কঙ্গনা জাভেদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হৃতিক সংক্রান্ত মামলায় তাঁর বয়ান রেকর্ড করা রয়েছে পুলিসের কাছে। সেখানে তিনি বলেছেন নিজেদের তারকা ভাবমূর্তি বজায় রাখতে কঙ্গনাকে হৃতিকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন জাভেদ।