নেহেরুই চাননি তাওয়াং ভারতে অন্তর্ভুক্ত হোক! বিস্ফোরক মন্তব্য অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তাওয়াংকে ভারতে অন্তর্ভুক্তই করতে চাননি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু! ঠিক এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেলো অরুণাচলের (Arunachal Pradesh) মুখ্যমন্ত্ৰীর মুখে। ভারত এবং চিনের মধ্যে  যে ভুখণ্ডকে কেন্দ্র করে দিন কয়েক আগে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেই এলাকাটিকে নাকি ভারতে অন্তর্ভুক্তই করতে চাননি জওহরলাল নেহরু। অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্ৰী পেমা খাণ্ডুর (Pema Khandu) এই বক্তব্যের পরই শোরগোল পরে গেছে গোটা দেশে।

ঠিক কী মন্তব্য করেছেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্ৰী? এদিন পেমা খাণ্ডু বলেন, “ইতিহাসের এমন অধ্যায় আছে যা আমাদের দেশের নাগরিকদের পড়ানো হয়নি। এই অধ্যায়টাও তেমন”। “তাওয়াংকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করাটা পুরোপুরি সর্দার প্যাটেলের সিদ্ধান্ত ছিল। সেসময় অরুণাচল প্রদেশের নামও অরুণাচল প্রদেশ হয়নি। তখন এই এলাকার শাসনের দায়িত্ব ছিল অসম প্রশাসনের উপর। এর নাম ছিল NEFA বা নর্থ ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার এজেন্সি।”

এখানেই থেমে থাকেননি অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি বলেন, সেসময়ের সর্দার প্যাটেলের ইচ্ছাতেই অসমের রাজ্যপাল জয়রামদাস দৌলতরাম জেনারেল বব খাটিংকে তাওয়াংয়ে ভারতের পতাকা উত্তোলন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় দু’মাস লেগে গিয়েছিল পতাকা উত্তোলনের অনুমতি পেতে। রাজ্যপাল জয়রামদাস দৌলতরাম প্রধানমন্ত্রী নেহরুর দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই এলাকায় পতাকা উত্তোলনের অনুমতি পেতে। ততদিনে সর্দার প্যাটেল প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু নেহরু তাঁকে বলে দেন, “এই জায়গাটা নিয়ে আমরা করবটা কী?” যদিও এরপর নেহেরুর আপত্তি সত্ত্বেও তাওয়াংয়ে ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেনারেল বব খাটিং কারও নির্দেশ ছাড়াই তায়ওয়াংয়ে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন।

pema khandu

খাণ্ডুর এই মন্তব্যের পরই আলোড়ন পরে গিয়েছে অরুণাচল সহ গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত,কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারত-চিন বর্তমান সমস্যার জন্য পণ্ডিত নেহরুকে দায়ী করেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, নেহেরুর আমলেই ভারতের হাজার হাজার কিলোমিটার জমি দখল করেছে চিন। সেই প্রেক্ষাপটেই পেমা খাণ্ডুর এই মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে গোটা রাজনৈতিক মহল।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর