‘অমাবস্যার রাতে ৩০ কিমি হেঁটে ভারতে প্রবেশ করেছিল জইশ জঙ্গিরা’

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত ১৯ নভেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের নাগ্রোটায় চার পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিকে এনকাউন্টারে খতম করে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। সেই ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন ভারতে প্রবেশের আগে জঙ্গিরা অমাবস্যার রাতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে এসেছিল। আর এই ঘটনার পিছনেও মূলচক্রী জইশ-ই-মহম্মদের অপারেশনাল কম্যান্ডার কাশিম জান, যে আবার ২০১৬ সালের পাঠানকোট এয়ার বেসে জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড।

তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, আফগানিস্তানে আমেরিকা সৈন্য প্রত্যাহার করার পরেই মাথাচাড়া দিয়েছে তালিবানরা। সেই সঙ্গে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে জইশও। গুজারানওয়ালা সীমান্তে ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য ১৪ জন বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত জঙ্গি অপেক্ষারত। ‘সব মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপাড়ে বিভিন্ন তাঞ্জিমের প্রায় ২০০ জঙ্গি বিভিন্ন লঞ্চ প্যাডে লুকিয়ে আছে’, জানান এক অফিসার।

বিভিন্ন সূত্র থেকে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন ওই চার জইশ জঙ্গি বিশেষ কম্যান্ডো ট্রেনিং নিয়েছিল। তারা শাকারগড় থেকে সাম্বা পর্যন্ত ৩০ কিমি রাস্তা অমাবস্যার রাতে পায়ে হেঁটে এসেছিল। সেখান থেকে জাটোয়ালে পিক আপ পয়েন্টে তারা পৌঁছায়। এক সিনিয়র অফিসার এই প্রসঙ্গে জানান, ‘শাকারগড় থেকে জাটোয়াল ৩০ কিমি দূরে এবং সেখান থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ৮.৭ কিমি দূরে। খুব সম্ভবত সাম্বা সেক্টরের মাওয়া গ্রামের সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল।’

এছাড়া সীমান্ত পেরিয়ে JK01AL1055 নম্বরের একটি ট্রাকে রাত ২.৩০ থেকে ৩টের মধ্যে তারা সওয়ার হয়। সেটি রাত ৩.৪৪ নাগাদ সারোর টোল প্লাজা পেরিয়ে জম্মুর দিকে চলে যায়। নারওয়াল বাইপাস ধরে সেটি কাশ্মীরের দিকে যাওয়ার সমউ বান টোল প্লাজায় ৪.৪৫ নাগাদ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।

সম্পর্কিত খবর