শিক্ষিকাদের বদলির মামলায় বড় রায় হাইকোর্টের! ফের মানবিক রূপে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষিকা বদলি মানলায় ফের মানবিক রায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay)। তবে এক নয়, এদিন দু’জন শিক্ষিকা বদলির মামলায় (Teacher Transfer Case) গুরুত্বপূর্ণ রায় দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়ম যেমন নিয়মের মত আছে তেমনই মানবিকতাও জরুরি। শিক্ষিকাদের বদলির বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে মানবিক হওয়ার পরামর্শ আদালতের।

প্রথম মামলায় নিজের বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে বদলি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা সুপর্ণা রায়। তার বর্তমান পোস্টিং রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর। এদিকে বাড়িতে তিন বছরের দুধের শিশু। ওই একরত্তিকে ফেলে বাড়ি থেকে প্রায় চারশো কিলোমিটার দূরে চাকরি করতে যেতে হয় শিক্ষিকাকে।

আদালতে তিনি জানান, তার স্বামীও কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন। তাই বাড়িতে সন্তানকে একা ফেলে চাকরি করতে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ২০২১ সালে তিনি স্কুল শিক্ষা দফতরে বাড়ির কাছাকাছি বদলির জন্য আবেদন করেন। তবে তার চাকরির মেয়াদ ৫ বছর না হওয়ায় নিয়ম মত তার আবেদন গ্রাহ্য হয়নি।

আরও পড়ুন: মমতার হাত থেকে ফোঁটা নিয়েই আবেগে ভাসলেন শোভন! কী গিফট দিল দিদি?

এরপরই নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুপর্ণা। অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় ডব্লিউবিসিএস স্বামীর বিরুদ্ধে জোর করে গর্ভপাত ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলে ২০২০ সালে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন স্ত্রী। ওই মহিলার স্বামী আরামবাগ মহকুমায় কর্মরত।

high court

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে কর্মরত ওই শিক্ষিকার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তার উপর নানাদিক থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালে তিনি বদলি চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তিন বছর পরও তা গ্রাহ্য না হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

প্রথম মামলাতে চার সপ্তাহের মধ্যে স্কুল শিক্ষা সচিবকে বদলির বিষয় বিবেচনা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলাতেও বদলি কার্যকর করতে বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, স্কুল শিক্ষা দফতরকে শিক্ষিকা বদলির বিষয় মানবিক ভাবে বিবেচনা করতে হবে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর