সঙ্গে রাখুন এই জিনিসগুলি, নাহলে পাবেন না ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পের টাকা, জানাল নবান্ন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার ক্ষমতায় তৃতীয়বার আসার পরই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের’ (Lakhir bhandar prokolpo) ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (mamata banerjee)। এই প্রকল্পের আয়ত্তায় প্রতি মাসে তপসিলি ও আদিবাসী মহিলারা ১০০০ টাকা এবং জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা ৫০০ টাকা করে পাবেন। মূলত মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যেই এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই প্রকল্পের আয়ত্তাভুক্ত হওয়ার জন্য প্রথমে মহিলাদের নির্দিষ্ট একটি ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। তবে যেসকল পরিবারে সরকারী চাকরীজীবি কেউ নেই, সেইসকল পরিবারের একজন মহিলা এই প্রকল্পের আয়ত্তাভুক্ত হতে পারবেন। আর এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচীর মাধ্যমেই ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।

bbcbscb

নির্বাচনের পূর্বে গত বছর এই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচীতে সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের উপর। আর যার প্রভাব দেখা গিয়েছিল বাংলার নির্বাচনী ভোট বাক্সে। আর এবার এই কর্মসূচীর প্রধান বিষয় হল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প’। আগামী ১৬ ই আগস্ট থেকে শুরু হয় এই কর্মসূচীতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প’কেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প’কে উদ্দেশ্য করে শুক্রবার নবান্ন থেকে সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এই বৈঠকে বলা হয়, দুয়ারে সরকারে আগের মত সমস্ত প্রকল্প থাকলেও, এবারে প্রাধান্য দেওয়া হবে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প’কে। এই প্রকল্পের আয়ত্তাভুক্ত হওয়ার জন্য মহিলাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্য জাতিভুক্ত হলে সেই জাতির শংসাপত্র থাকবে হবে। তবে কোন মহিলার যদি কোন নথি না থাকে, তাহলে সেটা তাঁকে দ্রুতই তৈরি করে দিতে হবে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর