রাস্তার আলোতেই পড়ছে খুদে পড়ুয়া! ছবি পোস্ট করে প্রশংসা করলেন IAS, IPS অফিসাররা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে প্রতিদিন হাজার হাজার নিত্যনতুন ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যদিও, সেগুলির মধ্যে এমন কিছু ছবি বা ভাইরাল ভিডিও থাকে যা খুব সহজেই পৌঁছে যায় মানুষের মনের মণিকোঠায়। অর্থাৎ, সেগুলি প্রত্যেক নেটিজেনদেরই মন জিতে নেয়। শুধু তাই নয়, সেই ভাইরাল ছবি বা ভিডিওগুলি সকলকে এতটাই আবেগাপ্লুত করে দেয় যে, সেগুলি সমাজের বিশিষ্টজনেরাও শেয়ার করেন। এমতাবস্থায়, ঠিক সেইরকমই এক ছবি সামনে এসেছে এবার। যা দেখে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন।

মূলত, ওই ছবিটিতে একটি খুদে পড়ুয়াকে রাস্তার আলোতেই মন দিয়ে পড়াশোনা করতে দেখা গিয়েছে। রাতের আঁধারে ওইভাবেই পড়ছে সে। আর এই দৃশ্যই জয় করে নিয়েছে নেটিজেনদের মন। ইতিমধ্যেই এই ছবিটি আইএএস অফিসার অবনীশ শরণ তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেছেন। যা তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে।

সকলেই করছেন প্রশংসা: ভাইরাল হওয়া এই ছবিতে দেখা গিয়েছে, বাড়ির ছাদে বসে রাত্রিবেলায় রাস্তার আলোতেই মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করছে ওই শিশু। তার সামনে বই-খাতাও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এদিকে, এই মনোমুগ্ধকর ছবিটি শুধুমাত্র অবনীশ শরণ নয় পাশাপাশি, আইপিএস অফিসার নবনীত সিকেরাও পোস্ট করেছেন। এমতাবস্থায়, এই ভাইরাল পোস্টে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।

এদিকে, এই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে অবনীশ শরণ লিখেছেন, ” আগুন যেখানেই থাকুক, সেটা শুধু জ্বলতে হবে।” পাশাপাশি, ফেসবুকে এই ছবিটি পোস্ট করার সময় নবনীত সিকেরা লিখেছেন, “এই শিশুটির জন্য এটাই একমাত্র প্রার্থনা যে ঈশ্বর তাকে তার পরিশ্রমের ফল দিন।”

পাশাপাশি, জানা গিয়েছে, ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে যে শিশুটিকে দেখা যাচ্ছে, সে বিজনোরের নগর পঞ্চায়েতের সাহানপুরের মহল্লা মালিয়ানের বাসিন্দা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই খুদে পড়ুয়ার নাম হল ইশান। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। এমতাবস্থায়, বিশিষ্ট সমাজকর্মী অনামিকা আর্য এই বিষয়ে টুইট করে সংশ্লিষ্ট জেলা আধিকারিক এবং মোরাদাবাদ কমিশনারকে ওই শিশুটির আর্থিক অবস্থা এবং যোগ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে তার সরকারি সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি, মোরাদাবাদ কমিশনারের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি অবিলম্বে বিবেচনা করে উপযুক্ত সরকরি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর