বাদ পড়েছে ভুয়ো ভোটার! ছাপ্পা কমতেই বাংলায় কমেছে ভোটের হার, যা জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত এপ্রিল মাস থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম তিন দফার ভোট। বাকি রয়েছে আরও চার। তবে এর মাঝেই সামনে আসল রাজ্যে ভোটের হার কমে যাওয়ার ‘আসল কারণ’। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) মতে, এর নেপথ্যে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। কী সেই কারণ? সেটাও জানিয়েছে কমিশন।

বাংলায় প্রথম দুই দফার চেয়ে তৃতীয় দফায় ভোটের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৃদ্ধির পেলেও সেটা গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের হারের চেয়ে বেশ অনেকটাই কম। নির্বাচন কমিশনের (ECI) মতে, এর পিছনে ছাপ্পা ভোট কমে যাওয়া সহ বেশ কিছু কারণ রয়েছে।

কমিশনের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) ভোটের হার কমে যাওয়ার কারণ মূলত ৩টি। প্রথমত, ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া। বিরোধীদের অভিযোগের, প্রচুর ভুয়ো ভোটারের নাম সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ছাপ্পা ভোট না পড়া। নির্বাচন কমিশনের মতে, রাজ্যে এবার অবাধ এবং সুষ্টু নির্বাচন হচ্ছে। ছাপ্পা ভোট আটকানো গিয়েছে। সেই কারণেই প্রত্যেকবার যে বাড়তি ভোট ছাপ্পা হিসেবে পড়ে, সেটা এবার রোখা গিয়েছে। এবং তৃতীয়ত, সকল পরিযায়ী শ্রমিকের ভোট দিতে না আসা।

আরও পড়ুনঃ ‘তফশিলি, দলিত সংখ্যালঘু বিরোধী’! ‘মঞ্চেই উঠতে দেননি কল্যাণ’, বিস্ফোরক তৃণমূলের অপরূপা

কমিশনের ধারণা, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে এসে বহু পরিযায়ী শ্রমিক হিংসার সাক্ষী ছিলেন। সেই কারণে এবার অনেকেই ভোট দিতে আসেনি। ভোটবাক্সে সেটার প্রভাব পড়েছে বলে অনুমান নির্বাচন কমিশনের। এক কর্তা এই প্রসঙ্গে বলেন, এবারের ভোটে প্রথমে থেকেই ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটারদের নাম সরানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ছাপ্পা ভোটও এবার আটকানো গিয়েছে। সেই সঙ্গেই ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার জন্য এবার অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ভোট দিতে আসেননি বলেও মনে করা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে, উল্লিখিত তিন কারণের জন্যই এবার রাজ্যে ভোটের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে বলে মনে করছে কমিশন। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মত, রাজ্যে ভোটের হার কমার কারণ যদি এগুলিই হয়, তাহলে এটিকে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা নয়, বরং সাফল্য হিসেবে দেখা উচিত।

West Bengal Lok Sabha Election third phase 361 complaints to Election Commission of India ECI

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো চূড়ান্ত ভোটের হারে দেখা গিয়েছে, মালদহ উত্তরে ভোট পড়েছে ৭৬.০৩%। মালদহ দক্ষিণে ভোটের হার ৭৬.৬৯%। জঙ্গিপুরে ৭৫.৭২% এবং মুর্শিদাবাদে ৮১.৫২%। তৃতীয় দফার পশ্চিমবঙ্গের গড় ভোটের হার হল ৭৭.৫৩%। ২০১৯ সালের তুলনায় দেখা হলে, তা প্রায় ৪% কম।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর