প্রচারে গিয়ে ঘোর বিপত্তি! সভাস্থলে চটি ছিঁড়তেই নিজের পায়ে সেফটিপিন ফোটালেন মমতা

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মানেই সেই ধরাবাঁধা নীল বা সবুজ পাড়ের সাদা শাড়ি আর পায়ে হাওয়াই চটি (Hawai Chappal)। বছরের পর বছর ধরে এই হাওয়াই চটি’ই হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর অন্যতম স্টাইল স্টেটমেন্ট। এই মুহূর্তে গোটা দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন ২০২৪।

তাই বিগত দেড় মাস ধরেই নির্বাচনী প্রচার নিয়ে তুমুল ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। এই বয়সে এসেও বিরামহীন তৃণমূল নেত্রী। প্রায়  প্রত্যেকদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করতে ছুটে চলেছেন তিনি। শুক্রবারও তার অনথা হয়নি। কিন্তু এদিন ঝাড় গ্রামের জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মঞ্চে বক্তৃতা  দিতে উঠতেই ঘটে যায় এক বিপত্তি।

এদিন সভা মঞ্চেই ছিঁড়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর হওয়াই চটি। ইতিমধ্যেই  সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জুতোয় মুখ্যমন্ত্রীর সেফটিপিন লাগানোর ছবি। এদিন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কালিপদ সোরেনের সমর্থনে জনসভা করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Mamata

সেখানেই সভার মাঝেই আচমকা ছিঁড়ে যায় তাঁর হাওয়াই চটি। তখনই বিষয়টি বুঝতে পেরে মাইক্রোফোন হাতে তৃণমূল নেত্রী ইন্দ্রনীল সেনের  উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ইন্দ্রনীল তুমি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করো। আমি জুতোতে সেফটি পিন লাগিয়ে নিচ্ছি। আসলে ওর দোষ কিছু নেই। জুতোর যা আয়ু তার থেকে বেশি হেঁটে ফেলেছি।’

আরও পড়ুন: এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল দেবের! কল রেকর্ডিং ফাঁস করলেন হিরণ, তোলপাড় রাজ্য!

যদিও এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী নতুন চটি আনিয়ে দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু বাধা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উল্টে প্রশ্ন করেন, কোথা থেকে আনবে? আসলে, চিকিৎসকের পরামর্শে মুখ্যমন্ত্রী একটি বিশেষ ধরনের চটিই পরেন। তা সব জায়গায় পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে তাঁর সংশয় থেকেই ওই প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Mamata Banerjee

তাই ওসব ঝামেলা এড়াতেই পরে তিনি বলেন, ‘একটা সেফটি পিন জোগাড় করো।’ এরপর দেখা যায় মঞ্চের মাঝেই চেয়ারে বসে সেফটি পিন দিয়ে নিজেই নিজের জুতো সেলাই করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে চটিতে সেফটিপিন লাগাতে সাহায্য করেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সহ অন্যান্য মহিলা নেত্রীরা।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর