রামমন্দির উদ্বোধনের দিনেই দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূলের সংহতি মিছিল, হাঁটছেন ধর্মগুরুরাও

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ৫৫০ বছরের অপেক্ষার প্রহর শেষে আজ রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা (Ayodhya Ram Mandir Inauguration) হল। দেশজুড়ে যেন উৎসব। আর সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবীর হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা তুঙ্গে উঠেছে। তবে বাংলার চিত্রটা ভিন্ন। সেখানে ভগবান রামের পুজোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকে তৃণমূলের সংহতি মিছিল (TMC Sanhati Michil)।

সোমবার বেলা ৩টের সময় কালীঘাটে কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে ‘সংহতি মিছিল’-শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্ক সার্কাস পর্যন্ত হবে তৃণমূল সুপ্রিমোর এই মিছিল। মমতার কথা মত মিছিলে উপস্থিত থাকবেন সব ধর্মের মানুষ। সাথেই রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বেলা তিনটে নাগাদ কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূলের মিছিল। মমতার ডাকে ‘সংহতি মিছিল’-এ যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি, ইহুদি ধর্মগুরুরা মুখ্যমন্ত্রী পাশেই হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে চলেছেন।

আগেই বাংলাহান্ট জানিয়েছিল এদিন মিছিল ছেড়ে কিছুক্ষণের জন্য স্কুটিতে চেপে বেরিয়ে যাবেন মমতা। ঠিক তাই হল। হাজরা ল কলেজের অদূরে স্কুটারে চেপে নিকটস্থ গড়চার গুরুদ্বারে যান মমতা। গুরুদ্বারে চাদর চড়ানোর পর স্কুটিতে চেপে ফের মিছিলে ফিরে আসেন মমতা। সংহতি মিছিল সফল করতে মরিয়া শাসকদল।

tmc flag

আরও পড়ুন: যাদবপুরে ‘রাম-রাম’ স্লোগান দিতেই তুলকালাম! তেড়ে আসল বাম, ধস্তাধস্তিতে রক্তাক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

প্রসঙ্গত এর আগে সংহতি যাত্রার ঘোষণা করে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বলেছিলেন, ” ২২ জানুয়ারি একটি মিছিল করব আমি, এটা দলের প্রোগ্রাম। তৃণমূলের প্রোগ্রাম। নিজে একটা মিছিল করব আমি। প্রথমে নিজে কালীমন্দিরে যাব আমরা। সবাই যাবে না। আমি যাব। সেখানে মায়ের কাছে পুজো দিয়ে হাজরা থেকে সর্বধর্মের মানুষকে নিয়ে মিছিল করে পার্ক সার্কাস ময়দানে গিয়ে সভা করব। কালী মাকে ছুঁয়ে, মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, ওখানে অনেক গির্জাও রয়েছে, সব ছুঁয়ে যাব, সকলকে নিয়ে এই সভা করব। তৃণমূলের সভা, তবে শুভান্যুধায়ী, সাধারণ মানুষ, তারাও আসতে পারেন সংহতি মিছিলে’। তৃণমূল সুপ্রিমো অবশ্য জানিয়েছিলেন , “এটা কোনও পাল্টা মিছিল বা প্রতিবাদ না।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর