কবে সিঙ্গুরে সরষে বীজ ছড়িয়ে ছিলেন মমতা? পরীক্ষায় এলো প্রশ্ন, তাহলে কি বইতেও প্রচার

পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) শিক্ষাব্যাবস্থা নিয়ে ও মমতা ব্যানার্জীকে (Mamata Banerjee) কেন্দ্র করে আবার নতুন বিতর্ক সামনে এসেছে। ছাত্র জীবনে ইতিহাস বই পড়ার মূল উদেশ্য হলো দেশের ইতিহাসকে জানতে পারা, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া, মহাপুরুষদের জীবনী থেকে প্রেরণা নেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। যদিও ভারতের বেশিরভাগ ইতিহাস পাঠ্যপুস্তসকের বিকৃত করে লেখা। ভারতের ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে পড়ানো ইতিহাস বই বিদেশী আক্রমনকারী মুঘল ও ইংরেজদের চরণবন্দনা করতে ব্যাস্ত। কোথাও লেখা মুঘলরা ভারতে এসে সড়ক নির্মাণ করেছিল, আবার কথাও লেখা ইংরেজরা আসার আগে ভারতীয়রা অশিক্ষিত ছিল। এইসব পড়াশোনার ভিত্তিতে স্কুলে প্রশ্নঃ পত্রও তৈরি হয়।

প্রশ্নে বলা হয় ইংরেজরা ভারতে আসার সুফল গুলি লিখ,মুঘলদের তৈরি প্ৰথম স্থাপত্য ভাস্কর্যের নাম লিখ। এসকল সম্পর্কে অবশ্য ভারতের সচেতন নাগরিকরা ভালোভাবেই অবগত। এখন এ সমস্তকিছুকে ছাপিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এমন খবর সামনে আসছে যা অবাক করার মতো। খবর পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর থেকে সামনে আসছে। যেখানে সিঙ্গুরের মহামায়া স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্নঃ পত্রে অবাক করার মতো প্রশ্ন করা হয়েছে।

প্রশ্নঃ এই যে শ্রীমতি মমতা বন্দোপাধ্যায় সিঙ্গুরের মাটিতে কতো সালে সরষের বীজ ফেলেছিলেন। উত্তরের জন্য অবশ্য বিকল্পও দেওয়াহয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের তিনটি তারিখকে বিকল্প হিসেবে দেওয়া হয়েছে। আর এই নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাবহার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

WhatsApp Image 2019 12 08 at 8.31.06 PM

জানিয়ে দি, পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের অবস্থা এমন যে তারা পশ্চিমবঙ্গ তৈরির ইতিহাস পর্যন্ত জানে না। কিন্তু তাদের জোর করে পড়ানো হচ্ছে সিঙ্গুরে মমতা কত সালে সরষে ফেলেছে তা নিয়ে পড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের ইতিহাস, পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস, পশ্চিবঙ্গের মহান মহান রাজাদের ইতিহাস না পড়িয়ে কেন এমন রাজনৈতিক সম্পর্কিত প্রশ্নঃ করা হচ্ছে তা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে।

Avatar
Admin

Krishna Chandra Garain, BIET alum, blends mechanical ingenuity with literary finesse. An adept in technical and business content, his words breathe life into concepts. With a background in mechanical engineering, he navigates complexities effortlessly, crafting narratives that enlighten and inspire. A virtuoso of words, Krishna transforms ideas into captivating realities.

সম্পর্কিত খবর