দেবকে দেখেই ‘জয় শ্রী রাম’ বলে চিৎকার! এগিয়ে এলেন তৃণমূল নেতা, তারপর…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাম নবমীর দিন দেবের (Dev) মুখে শোনা গিয়েছিল ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি। যা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল সেই সময়। এবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এসে এই স্লোগান শুনতে হল তৃণমূল প্রার্থীকে (TMC Candidate Dev)। মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে প্রচারে আসেন দেব। তৃণমূল নেতাকে দেখে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দেওয়া শুরু হয়।

সেই স্লোগান কানে আসে ঘাটালের বিদায়ী সাংসদের। এরপর সোজা এগিয়ে যান তিনি। একজনের সঙ্গে গিয়ে হাত মিলিয়ে আসেন দেব। ‘জয় শ্রী রাম’ (Jai Shree Ram) ধ্বনি নিয়ে তাঁর যে কোনও সমস্যা নেই, এদিন কার্যত পরিষ্কার করে দেন টলি অভিনেতা। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘রাম ভগবান, আমি নিজে দরগায় যাই। বহু মুসলিম সাঁইবাবায় যান। ভারতবাসীদের ধর্ম শেখাতে আসবেন না’।

একগাল হাসি নিয়ে ঘাটালের জোড়াফুল (TMC) প্রার্থী বলেন, ‘বিরোধী দলকে দেখলে এমন স্লোগান দেওয়া হয়, আর দেবকে দেখলে হবে না! এটা তো হতে পারে না। তবে দেবও জানে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। রাগ করে কিংবা অভিমান করে নয়, ভালোবাসা দিয়েও কাজ করা যায়’।

আরও পড়ুনঃ ব্যাঙ্কে রয়েছে মাত্র ৩৬,০০০! কত টাকার মালকিন শতাব্দী? তৃণমূল প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ অবাক করবে!

এদিন তৃণমূলের উন্নয়নের কথাও শোনা যায় দেবের মুখে। উনিশের লোকসভা ভোটের থেকে এবার ভালো ফল করবে জোড়াফুল শিবির, আশাবাদী তিনি। ঘাটালের বিদায়ী সাংসদ বলেন, ‘তৃণমূলের পক্ষে মানুষ যেন ভোট দেয়। মানুষের উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কাজ করেছেন। এবার প্রচারে ভালো সাড়া পাচ্ছি। উনিশের থেকে এবার ভালো ফল হবে, আসন সংখ্যা বাড়বে। দলের হয়ে চাইব, প্রথম তিন আসনে জয়ী হোক। এবার রায়গঞ্জ, বালুরঘাটে প্রচার করব। চাইব এখানেও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হোক’।

Ghatal TMC candidate Dev

বিগত দু’বার ঘাটাল থেকে জিতে সংসদে গিয়েছেন দেব। এবার নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিশেষ ইচ্ছে ছিল না দেবের। তবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে পাখির চোখ করে এবং ঘাটালবাসীর কথা মাথায় রেখে ফের ভোট ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। নিজ কেন্দ্রে জোড়াফুল ফোটানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী দেব। তিনি বলেন, মানুষ যাকে বিশ্বাস করবেন তাঁকেই ভোট দেবেন। প্রতিপক্ষ হিরণের কথা উঠতেই তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ‘যত বেশি বলবে আমার তত লাভ’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর