‘শুভেন্দুর হাতে প্রতিদিন ধর্ষিতা হচ্ছে …’, বিরোধী দলনেতাকে তুলোধোনা মদনের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাজিরা দিতে এসেও স্বমহিমায় ধরা দিলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)। মঙ্গলবার নারদা মামলায় সাক্ষ্য দিতে PMLA কোর্টে পৌঁছোন কামারহাটির দাপুটে বিধায়ক মদন মিত্র। তবে আদালতে এসেও বিরাম নেই তার। আদালত চত্বরের বাইরেই নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)।

নারদা মামলায় এদিন আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্রের। সেখানেই আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে মদনের বিস্ফোরক দাবি, ‘‘বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর ভাষাগুলো যদি ভাল করে লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন উনি যে বাক্য চয়ন ব্যবহার করছেন তাতে প্রতিদিন আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষা ধর্ষিতা হচ্ছে!’’

কোন প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করলেন মদন মিত্র? গত দুদিন ধরেছে রাজ্য-রাজ্যপাল ইস্যুতে উত্তাপ চড়েছে রাজনীতিতে৷ সেই প্রসঙ্গ কথা উঠলেই শুভেন্দুর প্রসঙ্গ তোলেন মদন মিত্র৷ মদনের আরও দাবি, শুভেন্দু একা নন, গোটা অধিকারী পরিবারই মাতৃভাষাকে ধর্ষণ করছে বলে অভিযোগ তোলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।

madan suvendu

বিরোধী দলনেতা তরফে এখনও বিধায়কের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠমহল এই বিষয়টিকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ৷ তাদের দাবি, হতাশা থেকেই কামারহাটির বিধায়ক এসব উল্টোপাল্টা বলছেন৷ প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে দেরী করে পৌঁছনোর জন্য বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়েন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বিধায়ক মদন মিত্র।

ফিরহাদ ও মদনকে উদ্দেশ্য করে এদিন বিচারপতি শুভেন্দু সাহা বলেন, “আপনারা কতটা VIP গিয়েছেন যে বিচারককে এতক্ষণ বসে থাকতে হচ্ছে। যদি সময়মতো আদালতে না আসেন, তবে কীভাবে তুলে আনতে হয় তা জানা আছে।” বিচারপতির ভর্ৎসনার পর অবশ্য সাফাই দেন মদন মিত্র।

দেরী হওয়া প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, আদালতে আসার পথে এসএসকেএম হাসপাতালে সামনে যানজটে আটকে পড়েছিলেন তিনি, তাই সঠিক সময়ে আদালত কক্ষে আসতে পারেননি। পাশাপাশি দেরি হওয়ার জন্য তিনি লজ্জিত বলেও আদালতে জানান এমএম। অন্যদিকে, এই বিষয় নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হামিকের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মামলার পরবর্তী শুনানি ২১ এপ্রিল৷

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর