বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীর নেতাজি (Netaji Subhas Chandra Bose) স্মরণে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। আজ ২৩ জানুয়ারি, নেতাজির জন্মদিবসেই একটি অনুষ্ঠানে আন্দামান ও নিকোবরের (Andaman and Nicobar) ২১টি বড় অনামাঙ্কিত দ্বীপের (Unnamed Islands) নামকরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, পরম বীর চক্র পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামে রাখা হবে দ্বীপ গুলির নাম। সর্ববৃহৎ নামহীন দ্বীপের নামকরণ করা হতে চলেছে প্রথম পরম বীর চক্র পুরস্কারপ্রাপ্ত মেজর সোমনাথ শর্মার নামে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (PMO) থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জারি করে এই সংবাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে এবং নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, ২০১৮ সালে এই দ্বীপ সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী রস দ্বীপপুঞ্জের নাম পরিবর্তন করে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দ্বীপ রাখা হয়েছিল। নীল দ্বীপ এবং হ্যাভলক দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে শহীদ দ্বীপ এবং স্বরাজ দ্বীপ নামে’।
সূত্রের খবর, সোমবার সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নামকরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি আন্দামানের ন্যাশনাল মেমোরিয়ালের শিলান্যাস করবেন তিঁনি। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দ্বীপে নির্মিত নেতাজিকে উৎসর্গ করা জাতীয় স্মৃতিসৌধের মডেলও উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এদিন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের সবথেকে বড় দ্বীপের নামকরণ করা হবে প্রথম পরম বীর চক্র পুরস্কারপ্রাপ্ত মেজর সোমনাথ শর্মার নামে, তিঁনি ১৯৪৭ সালের ৩ নভেম্বর শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের সরিয়ে দেওয়ার সময় সেই লড়াইয়ে শহীদ হন। বদগামের যুদ্ধের সময় তার বীরত্ব ও আত্মত্যাগের জন্য তাকে মরণোত্তর পরম বীর চক্রে ভূষিত করা হয়।
এরপর, দ্বিতীয় বৃহত্তম নামবিহীন দ্বীপের নামকরণ করা হবে দ্বিতীয় পরম বীর চক্র পুরস্কার প্রাপক, সুবেদার এবং অনারারি ক্যাপ্টেন (তৎকালীন সময়ে ল্যান্স নায়েক) করম সিংয়ের নামে। তিঁনি ১৯৪৭ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পরম বীর চক্র অর্জন করেছিলেন যেখানে তিথওয়াল সেক্টরের নিয়ন্ত্রণের জন্য যুদ্ধ হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর তরফে উল্লেখ করা হয়েছে , ‘এই পদক্ষেপটি হবে আমাদের বীরদের প্রতি চিরন্তন শ্রদ্ধাঞ্জলি, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্য চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন’। পাশাপাশি দেশের বাস্তব জীবনের নায়কদের যথাযথ সম্মান দেওয়ার লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে বলেও পিএমও সূত্রে জানানো হয়েছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই ২১ জন পরম বীর চক্র পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা, যাদের নামে দ্বীপগুলির নামকরণ করা হবে: সেই তালিকায় রয়েছেন মেজর সোমনাথ শর্মা; সুবেদার এবং অনারারি ক্যাপ্টেন (তখন ল্যান্স নায়েক) করম সিং, এমএম; ২য় লেফটেন্যান্ট রমা রাঘোবা রানে; নায়ক যদুনাথ সিং; কোম্পানি হাবিলদার মেজর পিরু সিং; ক্যাপ্টেন জিএস সালারিয়া; লেফটেন্যান্ট কর্নেল (তৎকালীন মেজর) ধন সিং থাপা; সুবেদার জোগিন্দর সিং; মেজর শয়তান সিং; সিকিউএমএইচ আবদুল হামিদ; লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরদেশির বুর্জরজি তারাপোরে; ল্যান্স নায়েক আলবার্ট এক্কা; মেজর হোশিয়ার সিং; ২য় লেফটেন্যান্ট অরুণ ক্ষেত্রপাল; ফ্লাইং অফিসার নির্মলজিৎ সিং সেখন; মেজর রামস্বামী পরমেশ্বরন; নায়েব সুবেদার বানা সিং; ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা; লেফটেন্যান্ট মনোজ কুমার পান্ডে; সুবেদার মেজর (তখন রাইফেলম্যান) সঞ্জয় কুমার; এবং সুবেদার মেজর অবসরপ্রাপ্ত (অনারারি ক্যাপ্টেন) গ্রেনেডিয়ার যোগেন্দ্র সিং যাদব।