স্কুলে মিড-ডে মিল রাঁধেন মা! দরিদ্রতাকে জয় করে পিতৃহীন ছেলে আজ IAS অফিসার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একজন মানুষ যখন কোনও কাজ পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে করে, তখন সাফল্য হাসিমুখে তার জন্য অপেক্ষা করে। ডোংরে রেভাইয়াহা এই ঘটনার চাক্ষুষ উদাহরণ। জীবনের প্রতিবন্ধকতাকে মনের জোরে সরিয়ে বন্ধু পথকে মসৃণ করে তুলেছেন তিনি। দরিদ্রতা যে কখনও যোগ্য ব্যক্তির পথের অন্তরায় হতে পারেনা সেটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন তিনি।

ডোংরে রেভাইয়া এমন এক পড়ুয়া যিনি প্রচণ্ড দারিদ্রতার মধ্যেও নিজের পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। আর ফলস্বরূপ মিড ডে মিল রাঁধুনির সন্তান ডোংরে আজ সফল আইএএস অফিসার। তার এই সফর যে নতুন প্রজন্মের কাছে প্রেরণা, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাহলে চলুন জেনে নিই ডোংরে রেভাইয়ার কাহিনী।

জীবনের সমস্ত সমস্যাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সাল ২০২২-এ আইএএস অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। সংসার বলতে তিনি আর তার মা। বাবা মারা যাওয়ার পর দু মুঠো অন্ন জোগাড় করাও কষ্টকর হয়ে ওঠে তাদের পক্ষে। এমতাবস্থায় ডোংরের মা অন্নসংস্থানের জন্য কাজ নেন তেলেঙ্গানার এক সরকারি স্কুলে।

কোনরকমে জুটে যেত খাবার। এমন পরিস্থিতিতে কোন মানুষ যখন সমস্ত হাল ছেড়ে দেয়, ডোংরে সেখানে দরিদ্রতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়। কোনও প্রতিবন্ধকতাকেই আর জীবনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেননি তিনি। এরপর আইআইটি-র প্রবেশিকায় উত্তীর্ণ হন এবং ভর্তি হন আইআইটি মাদ্রাজে (IIT Madras)।

তবে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরেও তার জীবনের সংগ্রাম থেমে থাকেনি। এরপর বসেন গেট পরীক্ষায়। সেখানে সফল হয়ে মোটা অঙ্কের চাকরি নিয়ে চলে যান হায়দ্রাবাদে। তবে এখানেই থেমে থাকেনি তার সফর। এরপর তেলেঙ্গানার এক ছোট্ট শহরের দলিত পরিবারের সন্তান ডোংরে স্বপ্ন দেখেন IAS হওয়ার।

dongre revaiah

সেইমত ২০২২ সালে ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় বসেন তিনি। এবারও সফলতা এসে ধরা দেয় তার হাতে। পরীক্ষায় ৪১০ র্্যাঙ্ক করার পর এখন আইএএস অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ডোংরে রেভাইয়া। যেসব মানুষ দরিদ্রতাকে সঙ্গী করে বড়ো কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের কাছে আদর্শ এই তরুণ তুর্কীর দৃঢ়তা।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর