বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেষের দোরগোড়ায় এসে ঠেকেছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের তরফে দাবি করা হয়েছে এমনি। এক বছরও হয়নি গঠন করা হয়েছে এই তদারকি সরকার। বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-গণ অভ্যুত্থান, হাসিনার দেশ ছেড়ে পলায়নের পর সমবেত দাবিতে তদারকি সরকারের মাথায় বসেছিলেন নোবেল প্রাপ্ত ইউনূস। কিন্তু ‘নতুন’ বাংলাদেশকে (Bangladesh) দিশা দেখাতে তিনি ব্যর্থ। আর বেশিদিন সময় নেই এই সরকারের, একাধিক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে (Bangladesh) জনসমর্থন কমছে ইউনূসের
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজনৈতিক পালাবদলের পর্ব চলছে। গত জুলাই অগাস্ট মাসে যে পরিমাণ জনসমর্থন নিয়ে সরকারে এসেছিলেন ইউনূস, এখন তা অনেকটাই কম। এর কারণ মূলত বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মানের অবনতি। তবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর একটি উপায়ও দেখানো হয়েছে আইসিজির প্রতিবেদনে।
কী বলল আইসিজি: আইসিজির দাবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সদস্য দেশগুলি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে বাংলাদেশের (Bangladesh) গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটতে পারে। এক্ষেত্রে সংষ্কার প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তি এবং আর্থিক সাহায্য, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার মতো বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: ভারতের বাজেটে পোয়াবারো চিনের! ব্যাপারটা কী?
রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত বাংলাদেশে: উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত। আগামী ২০২৬ এর মধ্যেই সে দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তার আগে প্রয়োজন সর্বাঙ্গীণ রাজনৈতিক সংষ্কার। এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে স্পষ্ট চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ইউনূস বিরোধী মনোভাবও তৈরি হচ্ছে অনেকাংশে। যার জেরে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ছে সরকার। ।
আরো পড়ুন: বড়সড় খারাপ খবর! দর্শকরা মুখ ফেরাতেই কপাল পুড়ল জলসার আরও এক মেগার
বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতির বিষয়ে আইসিজির এক কর্মকর্তা বলেন, এই আর্থিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে এবং দেশকে সঠিক পথে ফেরাতে এখনো কিছুটা সময় লাগবে জনগণের। উপরন্তু ভারতের সঙ্গেও সম্পর্কে টানাপোড়েন দূর করার দিকেই জোর দেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, অদূর ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যুদ্ধবিধ্বস্ত মায়ানমারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। এদিকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতির মতো সমস্যা তো রয়েছেই। তবে সামনে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কিছু সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন আইসিজি কর্মকর্তা। তবে সেগুলিকে কাজে লাগাতে রাজনৈতিক একতা এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন।