জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদের আগেই নতুন প্রেমিককে নিয়ে গোয়ায় নবনীতা! ছবি ভাইরাল হতেই উড়ে এল কটাক্ষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগেই সামনে এসেছে জিতু কামাল (Jeetu Kamal) ও নবনীতা দাসের (Nabanita Das) বিচ্ছেদের খবর। তারপর থেকেই নবনীতার নতুন সম্পর্কের জল্পনা নিয়েও কম জলঘোলা হচ্ছেনা। কখনও জিতুর ইঙ্গিতপূর্ণ ইনস্টাগ্রাম পোস্ট, রিল তো কখনও আবার নবনীতার মন্তব্য__সবে মিলিয়ে এই দুই তারকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সবার আগ্রহ এখন তুঙ্গে।

আর এসবের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল এক ছবি। যা নিয়ে এখন রীতিমতো উত্তাল হয়ে পড়েছে টলিপাড়া। আর বলাই বাহুল্য যে এই ছবি নবনীতা দাসের। স্বামীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জনের আবহেই গোয়া ভ্রমণে গেছেন অভিনেত্রী। সেখান থেকে পটাপট ছবিও পোস্ট করে চলেছেন। তবে এটা কী দেখা গেল?

আসলে সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের হাত ধরে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, গোয়ায় এক হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন নবনীতা। তবে আসল গুঞ্জন অন্য একটি ছবি নিয়ে। কারন একই সময়ে ব্যবসায়ী স্নেহাল অধিকারিও একটি পোস্ট করেছেন। আর সেই ছবিও ঐ একই বারান্দায় দাঁড়িয়ে।

এই দুটি ছবি দেখেই দুই-দুইয়ে চার করে ফেলেছেন নেটিজনরা। অর্থাৎ এতদিন টলিপাড়ার হাওয়ায় যে খবর ভাসছিল তা নেহাৎ মিথ্যা নয়। সকলেই ধরে নিয়েছেন যে, জিতুকে ছেড়ে স্নেহালের প্রেমেই মজেছেন নবনীতা! যদিও এই বিষয়ে দুজনেই এখনও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Nabanita❤ (@nabanita.das)

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যেদিন থেকে এই তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের খবর সামনে এসেছিল সেদিন থেকেই খবরের শিরোনামে রয়েছে তারা। বিষয়টা নিয়ে নবনিতা মাঝেমাঝে মুখ খুললেও জিতু বরাবরই চুপ। তবে এইদিন দালাই মালাইয়ের থেকে শব্দ ধার করে জিতু লেখেন, ‘কারও ব্যবহারে নিজের মানসিক শান্তি বিঘ্নিত কর না।’

 

View this post on Instagram

 

A post shared by ~Snehel.A~ (@snehel_adhikary)

 

অন্যদিকে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে নবনীতা বলেন, ‘এই বিষয়টাকে নিয়ে কীভাবে রিয়্যাক্ট করা উচিত আমি জানি না। বুঝতে পারছি না কী বলা উচিত। তিনমাস ধরেই আলাদা ছিলাম। অনেক ক্ষেত্রেই মতের মিল হচ্ছিল না। জিতুর সমস্যা হচ্ছিল কিনা জানি না। আমার হচ্ছিল। তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।’ এসবের মাঝে নবনীতা আর স্নেহালের এই পোস্ট অনেক কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর