বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের (West Bengal) পরিবহন কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের আওত্তায় আনতেই এবার নতুন করে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের (West Bengal) পরিবহন দপ্তর। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বাসচালক, এবং কন্ডাক্টরদের সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে এই পরিবহন কর্মীদের সরকারি প্রকল্পের আওতায় আনা হলে পরিবহণ ক্ষেত্রের অসংগঠিত শ্রমিকদের জীবনযাপনের মান উন্নত করার জন্য এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
রাজ্যের (West Bengal) পরিবহন কর্মীদের জন্য কড়া হচ্ছে নিয়ম
অনেকে আবার মনে করছেন এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি। কেউ কেউ অনুমান করছেন ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার (West Bengal)। কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘নিউ মিশন অন আর্বান পভার্টি অ্যালিভিয়েশন’ নামের একটি প্রকল্পের আওতায় পরিবহন ক্ষেত্রের অসংগঠিত কর্মীদের আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেই খবর। যার মাধ্যমে এবার বাস চালকের ওপর কড়া নজরদারি রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
কলকাতার রিজিয়োনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটির তরফে বাস সংগঠনগুলির কাছে সেই ফর্ম পাঠিয়ে তাতে সংশ্লিষ্ট কর্মীর নাম,ফোন নম্বর, বাবার নাম, তিনি কোন ধরনের বাস চালান,তার পরিবারে সদস্য-সংখ্যা কত? এই সমস্ত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সব ধরনের পরিবহন শ্রমিককে এই প্রকল্পের আওত্তায় আনার কথা মনে করছে সরকার।
কিন্তু কেন এই উদ্যোগ? কলকাতা কলকাতা আরটিএ সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভায় সম্প্রতি একটি বৈঠকে এ ধরনের উদ্যোগের কথা বলা হয়েছিল। যদিও পুরসভার এক শীর্ষ কর্তা জানান, তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। সূত্রের খবর গত মাসেই সল্টলেকের এমনই এক বাস দুর্ঘটনার পর পরিবহন ও নগোরান্নয়ন দপ্তরের তরফে বেশ কিছু ঘোষণা করা হয়েছিল।
সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল কমিশনের জন্য বাস দুর্ঘটনা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। প্রয়োজনে কমিশন প্রথা তুলে দিয়ে কর্মীদের বেতন দেবে বাস মালিকরা। তখনই জানানো হয়েছিল এমন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে যার মাধ্যমে চালক স্টিয়ারিং ধরার পরেই তার ওপরে নজর রাখা যায়। কিন্তু বাস কর্মীদের নিয়ে আচমকা এই বাড়তি কড়াকড়ি একেবারেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না কেউই।
আরও পড়ুন: বাড়তি সতর্কতা! প্রকল্পের টাকা বিলির আগে ইউনিক আইডি তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্যের
আচমকা এই ধরনের তথ্য সংগ্রহের ফ্রম দেখে অনেকেই তা পূরণে অনিহা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি দাবি করা হচ্ছে সামনেই ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখেই পরিবহন ক্ষেত্রে শ্রমিকদের এবারে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওত্তায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে বলে রাখা ভালো, সাধারণত রাজ্যে বেসরকারি বাস চালক এবং কন্ডাক্টরদের কোন বাঁধাধরা বেতন নেই।
এমনকি তাদের কারও অসুখ হলে মৃত্যু হলে কিংবা দুর্ঘটনা ঘটলে চিকিৎসার খরচ বা ক্ষতিপূরণের জন্য শ্রমিক সংগঠন ও বাস মালিকদের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলে। তাই এই সমস্ত শ্রমিকদের সরকারি প্রকল্পের আওতায় এনে সুবিধা দেওয়া গেলে আগামী দিনে ভোট বাক্সেও তারা সুফল পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি বেশ কিছু টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে রাজ্য সরকারেরও। তাই পরিবহন ক্ষেত্রে আগামী দিনে শ্রমিকদের সুবিধা হলে রাজ্য সরকারও তার সুফল পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।