বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছরের শুরু থেকেই একের পর এক ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁটা গোটা বিশ্ববাসী। ইতিমধ্যেই দাপট দেখিয়েছে HMPV। এবার সামনে এল নতুন এক আতঙ্ক, যার নাম গুলেন বারি সিনড্রোম (Guillain-Barre Syndrome)। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সিনড্রোমে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে গুলেন বারি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কি এই গুলেন বারি সিনড্রোম? এতে কি মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে?
নতুন আতঙ্কের নাম গুলেন বারি সিনড্রোম (Guillain-Barre Syndrome):
জানা গিয়েছে, গুলেন বারির প্রভাবে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক রোগীর। চিকিৎসকদের মতে, গুলেন বারি সিনড্রোম (Guillain-Barre Syndrome) একপ্রকার বিরল স্নায়ুজনিত রোগ। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের পুণেতে এই রোগের সংখ্যা ১০০ পার করে ফেলেছে। আর যার ফলে নতুন করে সকলের মনে ভয় শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোলাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গুলেন-বারিতে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আরও জানা যায়, ওই রোগীর ডায়েরিয়া ছিল। এমনকি সর্দি-কাশি সমস্যাতেও ভুগছিলেন। এরপর গত ১৮ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রাথমিকভাবে তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল বলেই তথ্য পাওয়া যায়। যদিও পরবর্তীতে তাঁর অবস্থার উন্নতি হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে রেগুলার বেডে স্থানান্তরিত করেন। কিন্তু গতকাল হঠাৎ ওই রোগীর অবস্থার অবনতি হয়, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আর এরপরই তাঁর মৃত্যু ঘটে। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের পুণেতে হুহু করে বাড়ছে গুলেন বারি সিনড্রোমের (Guillain-Barre Syndrome) সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১০১।
আরও পড়ুন:DA নয়, সরকারি কর্মীদের আরও বড় সুখবর! পেনশন নিয়ে জারি হল নয়া বিজ্ঞপ্তি
কি এই গুলেন বারি সিনড্রোম: চিকিৎসকদের মতে, গুলেন বারি সিনড্রোম (Guillain-Barre Syndrome) মূলত স্নায়ুতে আক্রমণ করে। এর ফলে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে রোগীদের। এমনকি এই রোগের প্রভাব এতটাই মারাত্মক যে অনেক রোগী অসাড় পর্যন্ত হয়ে যেতে পারেন। পাশাপাশি এর প্রভাবে আপনার প্যারালাইজড পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন: “ভারতের ম্যাপ আঁকা যাবে না….”, এবার সব সীমা ছাড়ালেন “দাম্ভিক” ইউনূস
এই রোগ কিভাবে ছড়াচ্ছে: এই সংক্রমণ কিভাবে ছড়াচ্ছে এই বিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, অস্বাস্থ্যকর খাবার বা পানীয় জল থেকেই গুলেন বারি সিনড্রোম (Guillain-Barre Syndrome) ছড়াচ্ছে। যদিও এই বিষয় প্রশাসন কড়া নজরদারি রেখেছে। আক্রান্তদের প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এখন এই সংক্রমণ কতটা প্রভাব ফেলে এটাই দেখার বিষয়।