পর্যটন দফতরের বড় উপহার! এবার কলকাতার খুব কাছেই শুরু হতে চলেছে রোপওয়ে পরিষেবা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দার্জিলিং, গ্যাংটক কিংবা কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে রোপওয়ের সফর করেন নি এমন পর্যটক রীতিমতো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এমতাবস্থায়, আমাদের রাজ্যে কিছু বিনোদন পার্কে রোপওয়ে পরিষেবা থাকলেও তা মূলত জয় রাইড হিসেবে বিবেচিত হয়। অর্থাৎ, রাজ্যে রোপওয়ে পরিষেবা (Ropeway Service) তেমন একটা নেই। কিন্তু, এবার এই রোপওয়েকেই গণপরিবহণের একটি মাধ্যম করে তুলতে চাইছে পরিবহণ দফতর।

শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার কলকাতার খুব কাছেই এই পরিষেবা শুরু হবে। মূলত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র স্বামীনারায়ণ মন্দির থেকে ভাসা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটারের সুদীর্ঘ পথ রোপওয়ে চেপেই যাতায়াত করতে পারবেন মানুষ। আপাতত এই পরিকল্পনাটিকেই বাস্তবায়িত করতে চলেছে রাজ্যের পর্যটন দফতর।

এদিকে, আগামী দিনে এই রোপওয়ে পরিষেবা শহর কলকাতার বুকেও শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গত মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরে এই বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং পরিবহণসচিব বিনোদ কুমার। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল-সহ অন্যান্য আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।

এর পাশাপাশি যে সংস্থা এই রোপওয়ে তৈরির কাজ করবে, সেই সংস্থার কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আপাতত আমতলার কাছে মোট দেড় কিলোমিটার অংশে এই পরিষেবা চালু করা হবে। এদিকে, প্রথম ধাপে রোপওয়ে তৈরির এই পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তিবায়িত হলে আগামী দিনে আমতলা-বাঁকড়া এবং জোকা-শিরাকোল রুটেও এই রোপওয়ে পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

ropeway in west bengal

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, রোপওয়ের স্টেশনের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। পাশাপাশি, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রোপওয়ের কারণে বায়ুদূষণেরও কোনো ঝুঁকি নেই। এমতাবস্থায়, স্বামীনারায়ণ মন্দির থেকে ভাসা পর্যন্ত রোপওয়ে পরিষেবার ক্ষেত্রে সেখানে প্রতিটি রোপওয়েতে আট থেকে দশজন যাত্রী একসঙ্গে যাতায়াত করতে পারবেন। এমতাবস্থায়, এই পরিষেবা শুরু হলে তা নিঃসন্দেহে রাজ্যের পর্যটনক্ষেত্রে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর