বুড়ো বয়সে ভীমরতি! চরম সুখের আশায় নিজের যৌনাঙ্গে সূচ ঢোকালেন প্রৌঢ়, তারপরে যা হল….

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এ ঠিক যেন “বুড়ো বয়সে ভীমরতি” হওয়ার মতোই ঘটনা! এমনিতেই বর্তমান সময়ে যৌন সুখের (Sexual Pleasure) চাহিদায় বিভিন্ন উদ্ভট সব কর্মকান্ডের বিষয় প্রায়শই সামনে আসে। তবে, এবার আমাদেরই রাজ্যে এক প্রৌঢ় এমন কান্ড করে বসলেন যেটি জানার পর চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে আপনার। মূলত, বিকৃত যৌন কামনার বশবর্তী হয়ে নিজের পুরুষাঙ্গেই সূচ ঢুকিয়ে দেন বছর পঞ্চাশের ওই প্রৌঢ়। তারপরেই ওই সূচ আর বের না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েন তিনি।

ঠিক কি ঘটেছে: এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আসানসোলের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ় আচমকাই পুরুষাঙ্গের তীব্র যন্ত্রণায় কাতর হয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। তারপরেই সমগ্ৰ বিষয়টি সামনে এসেছে। গত বুধবার বাড়িতে নিজের পুরুষাঙ্গে দু’টি সূচ ঢুকিয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু আর সেগুলি বের করতে পারেননি ওই বৃদ্ধ।

এমতাবস্থায়, বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর লিঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হওয়ার পাশাপাশি মূত্রের সঙ্গে রক্তক্ষরণও ঘটতে থাকে। অবস্থা বেগতিক বুঝে দেরি না করে তিনি তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। যদিও, প্রথমে যৌনাঙ্গে সূচ ঢোকানোর বিষয়টি সম্পর্কে তিনি চিকিৎসকদের কিছুই জানাননি। তবে, চিকিৎসকরা এক্স-রে করার পর তাঁদের কাছে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়।

তারপরে অবশ্য ওই প্রৌঢ় চিকিৎসকদের জানান যে, সঠিকভাবে মূত্র ত্যাগ করতে না পারায় তিনি এমন কাজ করেছেন। যদিও, তাঁর এই যুক্তি মানতে নারাজ চিকিৎসকরা। বরং, তাঁরা জানিয়েছেন ওই প্রৌঢ় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। পাশাপাশি বিকৃত যৌন লালসার জন্যই এমন অদ্ভুত কান্ড ঘটিয়েছেন তিনি। সর্বোপরি এর আগেও তিনি এহেন বিকৃত ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

needle in private parts 1

এদিকে, শেষপর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই প্রৌঢ়ের লিঙ্গ থেকে দু’টি সূচ বের করা হয়। এই প্রসঙ্গে ইউরোলজিস্ট পার্থসারথি চন্দ্র জানিয়েছেন, “ওই রোগীর পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল ছিল। কারণ প্রথমে ওই সূচগুলি তাঁর মূত্রনালীর মধ্যে ভাসমান অবস্থায় থাকলেও পরে সেগুলি মূত্রনালীতে গেঁথে যায়। তবে, তাঁর মূত্রনালী থেকে সূচ দু’টি বের করা গেছে। যেহেতু সূচ দু’টি জং ধরা ছিল তাই সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে। আপাতত ওই রোগীকে হাই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর