ওসব মিথ্যে, বিরোধীদের চক্রান্ত, আমি কাউকে চাকরি দিইনি! দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন পরেশ অধিকারী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বেশ কোণঠাসা অবস্থা বাংলার শাসকদলের। একের পর এক চাকরির নিয়োগে উঠে আসছে বেনিয়মের খতিয়ান। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে শিক্ষক নিয়োগে। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী নাম বারবার উঠে এসেছে দুর্নীতির অভিযোগে। ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে চাকরি থেকে। তারপর থেকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতে সেভাবে আর দেখাই যায়নি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে।

শুধুমাত্র মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়াই নয়, এর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে পরিবার ও আত্মীয় মিলিয়ে মোট ২৫ জনকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দীর্ঘদিন পর বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি। সামগ্রিক বিষয়গুলি নিয়ে মন্ত্রী জানালেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। উল্টে দাবি করেন এই সব অভিযোগ আসলে বিরোধীদের ‘চক্রান্ত’। তাঁর বক্তব্য, ‘এসব বিরোধীদের অভিযোগ। বিরোধীরা তো অভিযোগ আনতেই পারে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘যেগুলি কাগজে লেখা হচ্ছে, সেগুলি সব মিথ্যা। এগুলি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কারণ, চাকরি নিয়ে যেগুলি বলা হচ্ছে সেগুলো ভিত্তিহীন। আমার বউ চাকরি পায় আমার বিয়ের আগেই। তাঁর এখন অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেল।’ তাহলে কি এবার এই অভিযোগগুলিকে নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন পরেশ অধিকারী? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়গুলি বিচারাধীন। সেই বিষয়ে তো আর নতুন করে কিছু বলা যাবে না। তবে, আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি যেভাবে বলেন, সেইভাবেই চলবে আইনি লড়াই।’

পরেশ অধিকারীর এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজের মন্ত্রিসভার সদস্যের বিষয়ে কোনও কথা প্রকাশ্যে বলেননি। এমনকী দলীয় সূত্রে খবর, পরেশের সঙ্গে সরাসরি এই নিয়ে কোনও কথা হয়নি মমতার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘নাহ, সরাসরি কোনও কথা হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপ্যায়ের সঙ্গেও সরাসরি কোনও আলোচনা হয়নি।’ তবে দলীয় কর্মসূচি আগের মতোই চালিয়ে যাচ্ছেন পরেশ বাবু। সিবিআইয়ের তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয়। তবে সেই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি। নিজাম প্যলেসে তাঁকে ঠিক কী কী বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, তা নিয়েও মুখ খুলতে চাননি পরেশ বাবু। পরেশ অধিকারীর মতে ব্যাপারটা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ মোটেই নয়। তিনি বলেন, কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তারপর অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।