রেকর্ড গড়লেন এই TTE! বিনা টিকিটের যাত্রী ধরেই তুললেন ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকার জরিমানা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হল ট্রেন। প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চড়ে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছে যান খুব সহজেই। তবে, ট্রেনে চড়তে গেলে যেটা সবার প্রথমে দরকার হয় সেটা হল নির্ধারিত টিকিট। এদিকে, বহুক্ষেত্রেই অনেক মানুষ বিনা টিকিটেই যাতায়াত করেন ট্রেনে। যার ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হয় রেলকে।

তবে, এবার বিনা টিকিটের যাত্রীদেরকে ধরেই জরিমানার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা রেলের ভাঁড়ারে তুলে দিলেন এক টিকিট পরীক্ষার্থী। শুধু তাই নয়, যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষার ক্ষেত্রেও কার্যত রেকর্ড গড়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে যে, বিহারের ওই টিকিট পরীক্ষকের নাম হল শশী কুমার।

এক বছরে বিনা টিকিটের যাত্রীদের ধরে মোট ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা তুলে এনেছেন তিনি। আর এই কাজ করেই সকলের নজর কেড়েছেন ওই টিকিট পরীক্ষক। এদিকে, তাঁর কাজের পরিসংখ্যান দেখেও রীতিমত চোখ কপালে উঠেছে সবার।

জানা গিয়েছে, এক বছরের মধ্যেই শশী অন্তত ১৬ হাজার জন বিনা টিকিটের যাত্রীকে পাকড়াও করেছেন। এমনকি, প্রত্যেক দিন ৩০ টি করে ট্রেনের যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করতেন তিনি। আর তার সাথে চলত জরিমানাও। অর্থাৎ, প্রত্যেক ট্রেন থেকে ৪০ জন যাত্রীকে জরিমানা করেছেন শশী। এছাড়াও, ওই এক বছরে মোট ২৩৭ দিন কাজ করেছিলেন শশী। পিএনবিই-৪ স্কোয়াডে টিকিট পরীক্ষক হিসেবে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা মোট ১১ হাজার ২৬৭ জন যাত্রীকে ধরেছেন তিনি।

Ticket collector Shashi Kumar
Shashi Kumar

তবে, এখানেই থেমে থাকতে চাননি শশী। বরং আগামী অর্থবর্ষে তাঁর লক্ষ্য, বিনা টিকিটের যাত্রীদের পাকড়াও করে দু’কোটি টাকা তুলে আনা। এদিকে, তাঁর এই কাজকে কুর্ণিশ জানিয়ে রেলের পূর্ব-মধ্য শাখা থেকে শংসাপত্রও পেয়েছেন শশী। তাঁর হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন ওই রেল শাখার কমার্শিয়াল ম্যানেজার আধার রাজ। ওই শংসাপত্র থেকেই জানা গিয়েছে যে, পিএনবিই-৪ স্কোয়াডে টিকিট পরীক্ষক হিসেবে জরিমানা বাবদ চলতি অর্থবর্ষে ৬৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা তুলে এনেছেন শশী।

জানা গিয়েছে যে, চার বছর আগে ভারতীয় রেলওয়েতে চাকরি পান তিনি। রেল সূত্রে খবর, বিনা টিকিটে যাত্রীদের কাছ থেকে জরিমানার মাধ্যমে কোটি টাকা তোলার নিরিখে শশীর ধারে কাছে কেউ নেই। তিনি মূলত বিহারের পাটনা, দানাপুর, বক্সার, দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন স্টেশনে টিকিট পরীক্ষকের কাজ করেন।

166173

এদিকে, জরিমানা বাবদ এক কোটি ১১ লক্ষ টাকা তুলে আনতে পেরে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন শশী। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “আমাকে যেখানেই কাজে পাঠানো হয়েছে, আমি সেখানেই মন দিয়ে কাজ করেছি।’’ এদিকে, তাঁর কাজকে স্বীকৃতি জানিয়ে পাটনার স্টেশন ডিরেক্টরও শশীর হাতে একটি শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর