কোরোনার আতঙ্কে কম বিকোচ্ছে কাঁকড়া, বিপাকে চাষিরা

কাঁকড়া খেতে ভালো লাগেনা এরকম লোক পাওয়া মুশকিল কিন্তু শীত হোক বা গরম রবিবার দুপুরে গরম গরম কাঁকড়ার ঝাঁল দিয়ে ভাত খাওয়ার মজাই আলাদা।  কিন্তু বিগত কয়েক সপ্তাহে সেই কাঁকড়ার দেখা মেলা ভার। কারন করোনা ভাইরাস। যেই কাঁকড়ার মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া ছিলো সেই কাঁকড়া বিকোচ্ছে অনেক কম দামে। কাঁকড়ার বাজার খুব খারাপ. করোনার ভয়ে মানুষ বন্ধ করেছে কাঁকড়া খাওয়া।

উপকূলীয় এলাকা দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর, খেজুরি, নন্দীগ্রাম ও নয়াচর, খেজুরি, নয়াচর ও নন্দীগ্রামে প্রচুর জায়গায় কাঁকড়া চাষ হয়। এসব এলাকার আড়াই হাজারের বেশি মানুষ এই কাঁকড়া চাষের সঙ্গে যুক্ত.বলা যেতে পারে কাঁকড়া বেঁচে জীবন ধারণ করেন বা কাঁকড়ার বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে ।

1800x1200 coronavirus 1 2কিন্তু করোনা আতঙ্ক ছড়াতেই গত ২৬ জানুয়ারি থেকে এই এলাকা থেকে চীনে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। কাঁকড়ার পাশাপাশি রুপচাঁদা, চিংড়ি, কাঁকড়া, পাতা মাছ, স্কুইড ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের বিক্রিও বন্ধ হতে বসেছে প্রায়। বাদুড়, ইঁদুর, মাছ, মাংস প্রায় সবকিছু থেকেই ছড়িয়েছে এই আতঙ্ক. এবার বলা দরকার ঠিক কি কারণে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে সেই নিয়েও কোনো সঠিক তথ্য মেলেনি আর মেলেনি এর প্রতিরোধের উপায়।

ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে রপ্তানিকারীরা কাঁকড়া নিতে রাজি হচ্ছেনা। এ কবে চীনে আবার এই কাঁকড়া রপ্তানি করা যাবে, সেদিকে তাঁরা এখন তাকিয়ে আছেন।কারণ এতে তাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে. বলা যেতে পারে ব্যবসায় মন্দা চলছে. আর সেই মন্দার পথ ফেলে আবার কবে লাভের মুখ দেখবে ভারত।সেই অপেক্ষায় আছে কাঁকড়া চাষীরা।

সম্পর্কিত খবর