বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসের অবসরে ঐতিহাসিক লাল কেল্লা থেকে ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়ার সময় চীন (China) আর পাকিস্তানের (Pakistan) বিস্তারবাদি নীতি এবং সন্ত্রাসবাদী নীতিতে ব্যাপক প্রহার করলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী দুই প্রতিবেশী দেশের নাম না নিয়েই বলেন, সন্ত্রাসবাদ আর বিস্তারবাদের বিরুদ্ধে ভারত বুক চিতিয়ে লড়াই করছে। ভারতীয় সেনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই শত্রুপক্ষকে যোগ্য জবাব দিচ্ছে। উনি বলেন, আমাদের জওয়ান কি করতে পারে সেটি গোটা বিশ্ব লাদাখে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর দেখেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, যারা চ্যালেঞ্জ জানাবে, তাঁদেরকে তাঁদের ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে।
Delhi: Prime Minister Narendra Modi unfurls the National Flag at the ramparts of the Red Fort on #IndependenceDay today.
The PM is being assisted by Major Shweta Pandey in unfurling the National Flag. pic.twitter.com/RPHNqMZxZS
— ANI (@ANI) August 15, 2020
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতের স্বয়ংপ্রভুতার সম্মান আমাদের কাছে সর্বোচ্চ। LoC থেকে শুরু করে LAC পর্যন্ত যখনই দেশের স্বয়ংপ্রভুতাকে কেউ চোখ রাঙানোর চেষ্টা করেছে, তাঁদের দেশের বাহাদুর জওয়ানরা সেই ভাষাতেই জবাব দিয়েছে। লাদাখে যা হয়েছে সেটা গোটা বিশ্ব দেখেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আজ মাতৃভূমিতে সর্বস্ব দেওয়া সেই জওয়ানদের প্রণাম জানাই, যারা লাগাতার সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ আর বিস্তারবাদের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করে চলেছে। আজ গোটা বিশ্বের বিশ্বাস ভারতের উপর আরও মজবুত হয়েছে।
From LoC to LAC, whoever tried to raise their eyes towards the sovereignty of our country, our soldiers responded to it in the same manner: PM Narendra Modi on #IndependenceDay pic.twitter.com/5fHmMWScaX
— ANI (@ANI) August 15, 2020
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ১৯২ এর মধ্যে ১৮৪ জন সদস্য সংযুক্ত রাষ্ট্রে ভারতের অস্থায়ী সদস্যতাকে সমর্থন করেছে। এটা গোটা দেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। এর সাথে সাথে গোটা বিশ্বে ভারত কি করে নিজের প্রভাব বাড়িয়েছে, এটা তাঁর জলজ্যান্ত প্রমাণ। ভারত সশক্ত আর সুরক্ষিত হওয়ার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারত লাগাতার নিজেদের প্রতিবেশী দেশের সাথে সাংস্কৃতিক আর আর্থিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। জমি সীমান্ত হোক আর সামুদ্রিক সীমান্ত, আমরা সবসময়ই আমাদের প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করেছি। নিজেদের সম্পর্ককে আমরা সবসময় সুরক্ষা, উন্নয়ন আর বিশ্বাসের দিয়ে আগলে রেখেছি।