মোবাইল গিলে পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে কয়দি, X-Ray রিপোর্ট দেখে অবাক চিকিৎসকরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল বিহারের (Bihar) গোপালগঞ্জ থেকে। জানা গিয়েছে, সেখানে ধরা পড়ার ভয়ে আস্ত মোবাইল গিলে ফেলেন কারাগারে থাকা এক বন্দি। এদিকে, ফোনটি গিলে ফেলার কিছুক্ষণ পর ওই বন্দির পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। তারপরেই তাঁকে শহরের সদর হাসপাতালের জরুরী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা যখন তাঁর X-Ray এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন তখনই উঠে আসে সেই চাঞ্চল্যকর তথ্য। X-Ray রিপোর্টে দেখা যায় তাঁর পেটে রয়েছে একটি মোবাইল ফোন। এমতাবস্থায়, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে, পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়েই তিনি মোবাইল ফোনটি গিলে ফেলেন। আর তারপরেই পেটের ব্যথায় কাবু হয়ে পড়েন ওই বন্দি।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই বন্দির নাম কওশর আলী। তিনি নগর থানা এলাকার ইন্দারভা রাফি গ্রামের বাসিন্দা বাবু জান মিয়ার ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে গোপালগঞ্জের চানভে কারাগারে বন্দি রয়েছেন কওশর। এদিকে, আচমকাই তিনি পেটে ব্যথা অনুভব করলে জেল প্রশাসন তড়িঘড়ি ওই বন্দিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপরেই তাঁর পেটে ফোনের উপস্থিতি দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় চিকিৎসকদের।

এর আগেও জেলে ছিলেন তিনি: বর্তমানে কওশরের অস্ত্রোপচারের জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এমনকি, তাঁর ভালো চিকিৎসার জন্য PMCH পাটনায় রেফার করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রসঙ্গে। জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি নগর থানার পুলিশ হাজিয়াপুর গ্রামের কাছে থেকে মাদকসহ কওশর আলীকে গ্রেপ্তার করে।

bihar jail (1)

উল্লেখ্য যে, এর আগেও তিনি একাধিকবার কারাগারে ছিলেন। যদিও মোবাইল গিলে ফেলার ঘটনাটি এই প্রথম ঘটিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে জরুরী ওয়ার্ডে কর্মরত ডাঃ সিদ্দিকী জানান, গত শনিবার রাতে পেটে ব্যথা নিয়ে এক বন্দিকে ভর্তি করা হয়। তাঁর নাম কওশর আলী। ওই বন্দির শরীরে একটি জিনিসের উপস্থিতি মিলেছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর