বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে ঘটল বিপত্তি। গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ। প্রথমে আবু তাহেরের, এবার বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় অধিবাসীরা। শুক্রবার রামপুরহাটের (Rampurhat) মেলেরডাঙা ও বিষ্ণুপুরের মানুষ ক্ষোভ উগড়ে দেন অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনে। শুধু তাই, এদিন তাঁকে শুনতে হয় তিনি নাকি ‘বসন্তের কোকিল।’ অর্থাৎ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র একআধবার দেখা মেলে তৃণমূল সাংসদের। প্রবল বিক্ষোভের সামনে কোনও মতে পালিয়ে বাঁচেন শতাব্দী রায়।
জানা যাচ্ছে, এদিন রামপুরহাটের মেলেরডাঙায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন করতে যান অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংসদকে দেখেই বিক্ষোভে দেখাতে শুরু করেন এলাকার মানুষ। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, সারা বছর সাংসদের দেখা মেলে না। সাংসদকে এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায় শুধুমাত্র ভোটের আগে। মেলেরডাঙা থেকে রামপুরহাট যাওয়ার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। একাধিক বার পঞ্চায়েতে জানিয়েও কাজ হয়নি। গ্রামে পাকা বাড়ির মালিকরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একের পর এক ঘর হাতিয়ে নিয়েছেন। বঞ্চিতের তালিকায় গরীব মানুষেরা।
বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী বলেন, আপনার বাড়ির সবার যদি একসঙ্গে ক্ষিদে পায় তাহলে কি আপনি তাদের একসঙ্গে খেতে দিতে পারবেন? আপনাকে এক এক জন করে দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তেমনই করছেন। আপনাদের অভাব অভিযোগ আমার কাছে জমা দিন। আমি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দেব। সেখান থেকে তিনি যান বিষ্ণুপুর গ্রামে। একই দৃশ্য দেখা যায় সেখানেও। সাংসদকে ঘিরে চলতে থাকে বিক্ষোভ।
‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিভিন্ন জেলায় স্থানীয়দের আমজনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূলের নেতা – মন্ত্রী – সাংসদদের। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে বেরিয়ে তৃণমূলেরই উপপ্রধানের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পালিয়ে যান কলকাতা থেকে পাঠানো এক নেতা। এর পরই মুর্শিদাবাদের শ্রীহট্টি গ্রামে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকেও। আবার বিকেলে নদিয়ার চাকদায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দিকে দিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেভাবে আমজনতা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাতে চিন্তায় পড়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কিভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেবে তাই নওয়ে আতান্তরে জোড়াফুল শিবির।