বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত ২ রা অক্টোবর মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরিয়ান খান (aryan khan)। ইন্ডাস্ট্রির কিং খানের ছেলের মাদক কাণ্ডে নাম জড়িয়ে হাজতবাস, নিঃসন্দেহে একটা বড় ঘটনা যার আঁচ গড়িয়েছে রাজনৈতিক মহল পর্যন্ত। ধর্মীয় দিকে ইঙ্গিত টানা থেকে শুরু করে আরিয়ানের গ্রেফতারির পেছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র আছে বলেও দাবি করেছে শিবসেনা এবং এনসিপি।
শিবসেনার তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার মহারাষ্ট্রের মর্যাদা হানির চেষ্টায় রয়েছে। ঠাকরে সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিক একের পর এক অভিযোগ আনছেন NCB আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। এবার জানা গেল কংগ্রেসও তলে তলে শাহরুখের (shahrukh khan) দিকেই সমর্থনের হাত বাড়িয়েছিল। আরিয়ান জেলে থাকাকালীনই পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে শাহরুখকে চিঠি দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী (rahul gandhi)।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ১৪ অক্টোবর শাহরুখ ও গৌরিকে চিঠি পাঠান রাহুল। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, আরিয়ানের সঙ্গে জেলে যেমন ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে তিনি দুঃখিত। কোনো শিশুর সঙ্গেই এমন ব্যবহার করা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। শাহরুখ যেভাবে সকলের বিপদে পাশে দাঁড়ান সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল তিনি। গোটা দেশ তাঁর পাশে আছে বলে শাহরুখকে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগেও গান্ধী পরিবারের সঙ্গে খান পরিবারের বিশেষ সখ্যতা চোখে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার জামিন পেলেও কাগজপত্র জমা দিতে দেরি হওয়ায় শনিবার সকালে জেল থেকে ছাড়া পান আরিয়ান। আপাতত মন্নতে ফিরলেও আরিয়ানের চলাফেরায় বেশ কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বিদেশে যেতে পারবেন না তিনি। তাঁর পাসপোর্ট জমা রয়েছে বিশেষ আদালতের কাছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া বিদেশে যেতে পারবেন না আরিয়ান।
এমনকি মুম্বই পর্যন্ত ছাড়তে পারবেন না তিনি। এ জন্য তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি লাগবে আরিয়ান। মাদক মামলায় আদালতে হওয়া কথোপকথন নিয়ে না সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে পারবেন আর না নেটমাধ্যমে কিছু লিখতে পারবেন না। এই মামলায় জামিন প্রাপ্ত অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না আরিয়ান। প্রতি শুক্রবার NCB দফতরে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে ১১ টা থেকে ২ টো পর্যন্ত। শোনা যাচ্ছে, আগামী দু তিন মাস পর্যন্ত নাকি সবরকম পার্টি, নাইট আউটে যাওয়াও বন্ধ আরিয়ানের। তাঁর জন্য ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরও খোঁজ চলছে বলে খবর।