বাংলাহান্ট ডেস্ক: ব্যারাকপুরের (barakpore) নব নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (raj chakraborty)। নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষনা হওয়ার পরেই ব্যারাকপুরে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি প্রচারে সুবিধা হওয়ার জন্য। তবে অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনে জিতেই রাজ আর ব্যারাকপুর বাসীর দিকে ফিরেও তাকাচ্ছেন না। জনৈক নেটপাড়া বাসীর কাছে এমন অভিযোগ পেয়ে সটান তাঁর বাড়িতে গিয়েই উপস্থিত হলেন রাজ।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রচণ্ড বৃষ্টির ফলে ব্যারাকপুরে বেশ কিছু জায়গায় জল জমেছে। সেই অভিযোগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিধায়ক রাজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ওই যুবক। তিনি অভিযোগ করেন জেতার পর রাজ ‘গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন’। এরপরেই ব্যারাকপুরে ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন পরিচালক।
হঠাৎ তারকা বিধায়ককে চোখের সামনে দেখে হকচকিয়ে যান যুবক। তারপরে সমস্ত সমস্যার কথা খুলে বলেন তিনি। ওই যুবক বলেন যে কোনো খারাপ কথা তিনি বলেননি। শুধু সমস্যার কথা জানাতে চেয়েছিলেন। তাঁর প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলে সমস্যা শোনেন রাজ। এলাকাটাও ঘুরে দেখেন তিনি।
রাজ বলেন, জেতার পর তিনি ঘরে বসে নেই। ইয়াসের পর ক্ষয়ক্ষতি দেখার জন্য ব্যারাকপুরে ঘুরে দেখেছেন। এখানকার নিকাশি ব্যবস্থা, ভাগাড়ের সমস্যা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তবে একদিনে তো সব কাজ সম্ভব নয়। তাই ধৈর্য ধরতে বলেছেন রাজ। পাশাপাশি ব্যারাকপুরের মানুষদের ধন্যবাদ জানানোর জন্য প্রতিটি বাড়িতে চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনাও করেছেন বলে জানান রাজ। দ্রুত সমস্যার কথা জানিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাঁর ফোন নম্বরও থাকবে চিঠিতে।
সম্প্রতি ব্যারাকপুরে স্টেডিয়ামকে বদলে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন রাজ। ব্যারাকপুরের স্পোর্টস ফোরাম স্টেডিয়ামকে সেফ হোম বানানোর কথা আগেই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে দুরন্ত গতিতে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের দিকে তাকিয়ে সেই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। ওই স্টেডিয়ামকে সেমি কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা যায় কিনা সেই বিষয়ে আলোচনায় বসেন রাজ।
ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান, প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি, ফিন্যান্স ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ। বিএন বোস হাপাতালের সুপারিন্টেডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। শেষমেষ স্টেডিয়ামকে বদলে মিনি করোনা হাসপাতালে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্টেডিয়ামটিকে সেফ হোম বানানোর জন্য আগে থেকেই কুড়িটি বেড মজুত রাখা হয়েছিল। সেই সংখ্যা বাড়িয়ে আরো দেড়শোটি বেড যোগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অক্সিজেন হাব রাখার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই হাসপাতাল তৈরি হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।