বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজস্থানের (Rajasthan) নাগৌরে এক ৭০ বছর বয়সী সন্ন্যাসীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে ওই সন্ন্যাসীর নাম মোহন দাস। আশ্রমের মেঝেতেই পড়ে ছিল তাঁর মৃতদেহ। রক্তের দাগ লেগেছিল গোটা আশ্রমেই। হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। মুখ ও চোখেও ব্যান্ডেজ করা ছিল। কুচমন থানা এলাকার রসাল গ্রামে এই আশ্রমটি অবস্থিত। হরিরাম বাবা কি বাগিচি নামের এই আশ্রমের ভৈরো বাবা মন্দিরে ১৪ বছর ধরে সেবা করছিলেন সাধক মোহন দাস।
গতকাল সোমবার সকালে সাধু হত্যার ঘটনা আসে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ৮টার দিকে নর সিং নামে এক ভক্ত আশ্রমে যান। তিনি সন্ত মোহন দাসকে ডাকলেন, কিন্তু কোন উত্তর পাননি। এরপর মন্দিরের পেছনে বারান্দার দিকে গেলে বিছানার পাশে মেঝেতে পড়ে থাকা সাধুর মৃত দেখতে পান তিনি। মৃত দেহের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল রক্ত। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীকে খবর দেন তিনি। এরপর সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, রোববার রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোহন দাসের পরিবার অভিযোগ দায়ের করে। মোহন দাসের ভাইপো ত্রিলোক রাম ও পরিবারের বাকিরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ত্রিলোক রাম পুলিসকে জানান, রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন মোহন দাস। এরপর তিনি ঘুমাতে যান। গ্রামবাসীরাও আশ্রম থেকে বাড়ি ফিরে যায়। রাতে আশ্রমে ওই সন্ন্যাসী ছাড়া আর কেউ ছিল না। সকালে নর সিং দেখতে পান তার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
সন্ত মোহন দাসের গ্রামে স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। রাতে আশ্রমে তিনি একাই থাকতেন। দিনে তাঁর সঙ্গে তাঁর দুই শিষ্য থাকতেন, তাঁরা রাতে গ্রামের গোয়ালঘরে ঘুমাতে যেতেন। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গ্রাম ও আশপাশের লোকজন আশ্রমে আসতেন।