কালীঘাটে TMC অফিসে বসেই চাকরি বিক্রি করতেন সুজয়কৃষ্ণ! কিভাবে? চার্জশিট ED-র

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য রোজ সামনে আনছেন তদন্তকারীরা। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী, শাসকদলের বহু দুঁদে নেতা, শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি জেলবন্দি রয়েছেন কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। এর এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিয়ে চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি ইডি-র।

গোয়েন্দাদের মতে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মুখ্য চরিত্র এই কালীঘাটের কাকু। আর তিনিই নাকি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা মানিক ভট্টাচার্যের কাছে পৌঁছে দিতেন। শুক্রবারই কাকুর বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে উল্লেখ ইডির। তবে ঠিক কী ধরনের বার্তা নিয়ে যেতেন সুজয় তা নিয়ে স্পষ্ট মতো কিছু বলা হয়নি।

এখানেই শেষ নয়! চার্জশিটে গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, খাস কালীঘাটে একেবারে তৃণমূলের দলীয় পার্টি অফিসে বসে চাকরি বিক্রির আখড়া বসাতেন সুজয়কৃষ্ণ। কালীঘাট বলতেই সকলের মাথায় আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া! ইডির দাবি মমতার পাড়াতে বসেই অবাধ ভাবে চাকরি বিক্রি চালাতেন কালীঘাটের কাকু।

sujay krishna bhadra

সুজয়ের কাছের সঙ্গী মানিকও স্বপরিবারে এখন জেলবন্দি। ইডির দাবি, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর ভালো সম্পর্ক ছিল। ইডির কথায়, ইতিমধ্যেই চাকরি বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন সুজয়। পাশাপাশি সুজয়ই তাদের জানিয়েছেন, তার সুপারিশেই গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পান মানিক। যদিও হতাশ করেননি দলকে। পলাশিপাড়া থেকে বিধানসভায় জয়লাভ করেন মানিক। পান বিধায়কের পদ।

শুক্রবার পেশ করা চার্জশিটে ইডির আরও দাবি, তৃণমূল অফিসে বসেই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন সুজয়। শুধু মানিকই নয়, সুজয়ের মিটিং চলত নিয়োগ দুর্নীতির অপর দুই অভিযুক্ত তৃণমূলেরই বহিষ্কৃত যুব নেতা হুগলির কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেও। আবার নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের সাথেও তার চাকরি বিক্রি সম্পর্কিত জরুরি বৈঠক হত বলে দাবি ইডির।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর