বাংলাহান্ট ডেস্ক: আশ্বিনের অকাল বৃষ্টিতে জল থইথই কলকাতা। উত্তর থেকে দক্ষিণ সবদিকেই জলছবিটা একই রকম। কোনো জায়গায় পা পাতা জল তো কোথাও তা ছুঁয়েছে কোমর। বহু জায়গায় জল ঢুকে গিয়েছে বাড়িতেও। অনেক এলাকাই এখনো বিদ্যুৎহীন। এমনকি জলে ভাসছে তৃণমূল সাংসদের বাড়িও।
অবস্থাটা একই রকম অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (rituparna sengupta) বাড়িতেও। লেক গার্ডেন্সে তাঁর শ্বশুরবাড়ি ডুবে গিয়েছে জলে। প্রত্যেক বছরই লেক গার্ডেন্সের বাসিন্দাদের জল ভোগান্তি হয়। বিয়ের পর থেকে সমস্যায় পড়েছেন ঋতুপর্ণাও। প্রতি বছরই একই চিত্র এখানকার।
এমনিতে বৃষ্টি প্রিয় অভিনেত্রীর। কিন্তু এখন বৃষ্টি হলেই জল জমার চিন্তায় মন খারাপ হয় তাঁর। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তাঁর শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির সামনেটা কার্যত পুকুর হয়ে গিয়েছে। জলে ডুবে গিয়েছে বাড়ির সামনের সিঁড়িও। তবে এখন আর ওই বাড়িতে থাকেন না তিনি। কাজের সূত্রে কলকাতার বাইরেই বেশিরভাগ সময়টা থাকতে হয় তাঁকে। লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে রয়েছেন অসুস্থ শাশুড়ি মা। তাঁর চিন্তাতেই ঘুম উড়েছে ঋতুপর্ণার।
জমা জল নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে তিনি জানালেন, জলে তাঁর অফিসের ক্ষতি হয়েছে, গাড়ির ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছর জল জমার ফলে বাড়িও ক্ষয়ে যাচ্ছে। বড় কিছু করার পরিকল্পনা থাকলেও এই জমা জলের সমস্যার জন্যই এগোতে পারছেন না ঋতুপর্ণা। জানালেন, এত দিনেও কোনো প্রতিকার নেই এই সমস্যার। কিছু কাজ হয়েছে ঠিকই কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। তবে আশা ছাড়েননি অভিনেত্রী। এত উন্নয়নের কাজ যখন হচ্ছে তখন লেক গার্ডেন্সে জল জমার সমস্যারও কিছু না কিছু প্রতিকার হবেই, বিশ্বাসী ঋতুপর্ণা।
গত বছর গোটা লকডাউনটাই সিঙ্গাপুরে কাটিয়েছেন ঋতুপর্ণা। সেখানে ছেলেকে নিয়ে থাকেন তাঁর স্বামী। আর কলকাতায় মেয়েকে নিয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী। করোনা আবহে বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকায় সিঙ্গাপুরে পরিবারের সময় কাটাচ্ছিলেন ঋতুপর্ণা। তবে এবার ফের কাজে ফিরেছেন তিনি।