আত্মনির্ভর! লবন ছাড়া কোনো কিছুই কিনতে হয় না ‘সীতার পাতাল প্রবেশ’-এর এই এলাকাকে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা মধ্যভারতের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল। মিথ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ সহাবস্থান সেখানে। কিন্তু কিছুদিন আগেও এই এলাকার নাম পর্যন্ত জানা ছিল না ভারতবাসীর। এহেন তথাকথিত নাম না জানা এলাকাই কিনা আত্মনির্ভরশীল! জেনে নিন মধ্যপ্রদেশের ছিন্দাওয়ারার পাতালকোট সম্পর্কে

images 4 45

রামায়ণ অনুসারে, পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্র দ্বিতীয় বার সীতাকে যখন অগ্নি পরীক্ষা দিতে বলেন, অপমানিতা সীতা সেই সময় নিজের ধরিত্রী মায়ের কাছে ফিরে যেতে চান। ভূমি ভাগ হয়ে পৃথিবীর কন্যা সীতা ফিরে যান পৃথিবীর বুকেই। পাতাল কোটের অধিবাসীদের বিশ্বাস এই অঞ্চলেই সীতা ফিরে গিয়েছিলেন ধরিত্রীর বুকে। আবার আরেকটি জনশ্রুতি বলছে, রাবন পুত্র মেঘনাদ এই অঞ্চল দিয়েই পৌঁছে গিয়েছিলেন পাতালে।

images 6 27
পাতালকোট ভারতের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত হলেও বহুদিন পর্যন্ত এই এলাকা ছিল অনাবিষ্কৃত। সাতপুরা পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত এই গ্রামটি ছিন্দাওয়ারা শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

images 2 44

পাহাড়ের গভীর গিরিখাতে অবস্থিত এই গ্রামের মূল বাসিন্দা ভারিয়া ভূমিয়া আদিবাসী গোষ্ঠী। সমতল থেকে প্রায় ১৭ ফুট নীচে অবস্থিত এই অঞ্চল বেশ কিছুদিন আগেও পর্যন্ত মানচিত্রে ছিল ব্রাত্য।

images 5 28

 

 

সাতপুরার এই পার্বত্য এলাকার অধিবাসীরা সত্যিকার অর্থেই আত্মনির্ভর। বাইরের জগৎ থেকে লবন ছাড়া আর কিছুই আনতে হয় না তাদের। নিজেদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের পাশাপাশি ঔষধের জন্যও তাদের হাত পাততে হয় না কারো কাছে, ভেষজ গুণ সম্পন্ন পাতালকোটের অরণ্য থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় ওষুধ আহরণ করে নেয় এই অঞ্চলের অধিবাসীরা। সব মিলিয়ে পাতাললোক প্রায় সর্বাংশেই আত্মনির্ভর। শুধু খাওয়ার লবন বাইরে থেকে আনতে হয় এই অঞ্চলের অধিবাসীদের।

সম্পর্কিত খবর