অধীরকে নিয়ে আবেগপ্রবন মন্তব্য সোমেনের

কংগ্রেসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য ও নেতৃত্ব৷ যাঁকে নিয়ে কংগ্রেসের গর্ব৷ রাজ্য জুড়ে যখন তৃণমূল ও বিজেপির একাধিপত্য বিস্তার ও আসন দখলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয় চলছে তথন নিজের জায়গা ঠিক ধরে রেখেছেন কংগ্রেসের সাংসদ অধীর চৌধুরি৷ দলে তাঁর গুরুত্ব কম নয়৷ দলে তাঁর কৃতিব্তের জন্য সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বিধানসভায়৷ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আাব্দুল মান্নান এই সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বুধবার৷ আর অধীরের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে অধীরের দলে স্মৃতিচারনা করতে গিয়ে আবেগপ্রবন হয়ে পড়লেন সোমেন মিত্র৷ 1996 সালের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি জানান, 1996 সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতো বন্দ্যোপাধ্যায় অধীর চৌধুরী, মৃনাল সিংহ রায়, সুলতান আহমেদ ও শঙ্কর সিংকে আমার টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কালো শাল গলায় দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সেদিন শত চাপের সত্ত্বেও তিনি মাথা নত করেননি৷ বরং নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন৷ তাই আজ তাঁর মনে হয়েছে সেদিন তিনি ঠিকই ছিলেন এবং সেদিন অধীরকে চিনতে ভুল করেননি৷

west bengal baharampur lok sabha elections result 2019 congress adhir ranjan chowdhury wins 1558764994

এমনিতেই সোমেনের সঙ্গে সম্পর্টা বেশ কয়েকবছর আগেই খারাপ হয়েছে অধীরের৷ তা প্রকাশ্যেই রয়েছে৷ তাই দুজনে দুদিকে হাঁটতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন৷ যদিও মান্নানের সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ ভালো৷ তাই একদিকে মান্নান ও অধীর অন্যদিকে সোমেন মিত্র৷ দুই গোষ্ঠী৷ তবে অধীরের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কিন্তু বেশ ততপরতার সঙ্গে হাজির হতে দেখাগেল সোমেন মিত্রকে৷ যা দেখে যথেষ্টই খুশি কংগ্রেস নেতারা৷ অনেকেই বলছেন এবার হয়তো বৈরিতার সম্পর্কটা ভালো হবে৷

তবে শুধু সোমেনই নন অধীরের কৃতিত্বের কথা বলতে গিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যও প্রশংসা করেছেন৷ অধীরের কাজের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন৷ পাশাপাশি লোকসভায় জয়লাভের জন্য তাঁকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন৷তবে শেষে অধীর চৌধুরিও সকলকে নিজের প্রশংসা ও ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ এবং নাম না করেই তৃণমূল সরকারকে বিঁধেছেনও৷ তাই সকলকে এক হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷

 

সম্পর্কিত খবর