বকেয়া বেতন ফেরত দিয়ে পেনশন চালু করুন! হাইকোর্টের নির্দেশে বিরাট জয় শিক্ষকের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ ২০ বছরের লড়াই! অবশেষে ধরা দিল জয়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে অবশেষে মুখে হাসি ফুটলো দীনবন্ধু পুরকায়েত নামক এক শিক্ষকের। বহুদিন থেকে জমে থাকা বকেয়া বেতন, পেনশন সুদ-সহ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিরুদ্ধ রায়।

শুধু তাই নয়! এই নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দিয়েছে আদালত। তিন সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষকের সুদ-সহ বকেয়া বেতন এবং চার সপ্তাহের মধ্যে পেনশন-সহ সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলেছেন বিচারপতি রায়। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আদিপাড়া আম্বেদকর স্কুলে ১৯৮৬ সালে অর্গানাইজেশন শিক্ষক হিসাবে চাকরিতে ঢোকেন তিনি। এরপর ২০০০ সালে ওই স্কুলেই স্থায়ী শিক্ষকের জায়গা পান তিনি।

এরপর সবকিছু ঠিক চলছিল। ২০০৩ সাল পর্যন্ত আদিপাড়া আম্বেদকর স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন দীনবন্ধু পুরকায়েত। ওই একই বছরেই স্থানীয় কিছু যুবক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যার জেরে দীনবন্ধুবাবুর বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

প্রচুর চেষ্টা, ছোটাছুটি, প্রচেষ্টার পর শুরু অবশেষে আদালতের রায়ে স্বস্তি পেলেন তিনি। আইনি লড়াই করে ২০ বছর পর জয়লাভ করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার দীনবন্ধু পুরকায়েত। এই বিষয়ে তার আইনজীবী বলেন, ‘স্থায়ী শিক্ষক হিসাবে তার বেতন বন্ধ হয় ২০০৩ সালে। অন্যদিকে এরপর ২০১৪ সালে তার স্কুলের অনুমোদনও বন্ধ হয়। সমস্যা বাড়তে থাকে। পরে অন্য স্কুলে যুক্ত করা হলেও বেতন নিয়ে জটিলতা মেটেনি।’

high court

২০১৫ সালে তিনি অবসর নিলে অবসরকালীন নানা সুবিধা থেকেও তিনি বঞ্চিত হন। এরপর আদালতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মামলার চলার পর জয় পেলেন দীনবন্ধু পুরকায়েত। আদালতের রায়ের পর তিনি জানান, লড়াই দীর্ঘদিনের হলেও অবশেষে জয় তো পেয়েছি। শেষ ভালো হওয়ার বেজায় খুশি ওই শিক্ষক।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর