যোগ্যদের চাকরি ফেরাতে বিরাট পদক্ষেপ! কালই খুলবে কপাল? সুপ্রিম কোর্টে তথ্য পেশ করবে SSC!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ আইনি জটিলতা শেষে গত এপ্রিল মাসে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (SSC Recruitment Scam) রায়দান করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। বাতিল করা হয়েছে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, বহুবার তলব করার পরেও রাজ্য সরকার অথবা এসএসসির তরফ থেকে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা পৃথক করে বাছাই করে দেওয়া হয়নি। তাই দুধের মধ্যে থেকে জল আলাদা করাও সম্ভব হয়নি। সেই কারণে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

হাই কোর্টের এই এক রায়ে চাকরিহারা হয়ে পড়েন ২৫,৭৫৩ জন। এরপরেই এসএসসির (School Service Commission) তরফ থেকে দাবি করা হয়, সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে অযোগ্যদের নাম এবং রোল নম্বর সহ তালিকা হাই কোর্টে হলফনামা আকারে তিনবার পেশ করা হয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অন্যদিকে আবার ‘যোগ’ চাকরিপ্রার্থীরা অবলম্বন করেছে আন্দোলনের পথ। এসবের মাঝেই সামনে এল বড় খবর।

কোন চাকরিপ্রার্থী যোগ্য এবং কোন চাকরিপ্রার্থী অযোগ্য, এই বিতর্কের মাঝেই এসএসসির তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিতকরণ সম্ভব। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, আপাতত স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে স্রেফ পরিসংখ্যান পেশ করা হবে। তালিকা জমা পড়বে না বলেই জানা যাচ্ছে। সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের ফারাক বোঝানো হবে।

আরও পড়ুনঃ যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য বিরাট সুখবর! শুরু পদক্ষেপ…খুশিতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা

সূত্রের খবর, সংখ্যাতত্ত্বে অযোগ্য প্রার্থীদের পরিসংখ্যান সুপ্রিম কোর্টে জমা করতে চলেছে কমিশন। এরপর শীর্ষ আদালত যদি চায়, তাহলে তালিকা পেশ করা হবে। এদিকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে আগেই জানতে চাওয়া হয়েছিল, আসল ওএমআর শিট যেহেতু নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং স্ক্যানড কপিও সিস্টেমে নেই, তাহলে কি যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পৃথক করে বাছাই করা সম্ভব?

SSC recruitment scam SSC chairman Supreme court

এই প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে আশ্বস্ত করে বলা হবে, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বিভাজন করা সম্ভব। যে সকল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, সেই পরিসংখ্যান শীর্ষ আদালতে দেব। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা যা করার সেটা করব’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর