BSF-র উপরে ভরসা নেই, মমতার পাশে দাঁড়িয়ে সীমান্তরক্ষীদের আটকানোর দাবি অধীরের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার সাতসকালেই কোচবিহারের (coochbehar) সাতভাণ্ডারী সীমান্তে গুলি চালাল বিএসএফ (bsf)। গরু পাচারকারী সন্দেহ করে গুলি চালাতেই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই মমতার পাশে থাকার প্রস্তাব দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)।

শুক্রবার বহরমপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘বিএসএফ গুলি কেন করেছে, সেটা তারাই জানে। সার্চ ও সিজার করার জন্য বিএসএফ যে নিজের এলাকা ৫০ কিলোমিটার বাড়াতে চাইছে, এর বিরোধীতা করে বাংলার সরকারের উচিৎ বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করে বিরোধীদের কাছে তা পাঠানো। এলাকা বড় হলে কিন্তু, অনেকটাই বিএসএফের আয়ত্তায় চলে যাবে’।

Adhir Ranjan Chowdhury

তিনি আরও বলেন, ‘বিএসএফ-এর নামে এমনিতেই অনেক অভিযোগ রয়েছে। তারউপর এলাকা বাড়ানো হলে, বেশি জায়গায় চলে যাবে ওদের আয়ত্তে। আর ওই এলাকার মানুষ ভরসাও করে না বিএসএফ-এর উপর। ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার বাড়ালে, অনেকটাই সমস্যা হতে পারে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, বিধানসভা ডেকে এর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ করা’।

প্রসঙ্গত, জওয়ানরা জানিয়েছে, কোচবিহারের সিতাই থানা এলাকার সাতভাণ্ডারী সীমান্ত দিয়ে শুক্রবার ভোরে তিনজন ব্যক্তি গরু পাচারের চেষ্টা করছিলেন। কাঁটাতারের বেড়ার কাছে ভারতীয় নাগরিক গরু পৌঁছে দিচ্ছিলেন। আর এই বিষয়টা চোখে পড়তেই জওয়ানরা বাঁধা দিতে তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে তাঁরা। তাই তখনই জওয়ানরা বাধ্য হয়ে গুলি চালানোর ফলে মারা যায় তিনজন গরু পাচারকারী। কিন্তু তাঁদের এই দাবি অস্বীকার করেছে এলাকাবাসী।

তবে এই প্রসঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ত্রিপুরা ইস্যুতেও মুখ খোলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরার মানুষ সরকার নয়, আরএসএস-বিজেপি দ্বারা অত্যাচারিত। স্বৈরাচারী রাজ চলছে, আর সেই কারণেই ত্রিপুরার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টকেও হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর